টাইগ্রেসদের উড়ন্ত সূচনা পাকিস্তানকে হারিয়ে

আগের সংবাদ

খুনোখুনি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুলিশ : অবৈধ অস্ত্রের পাশাপশি বেড়েছে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার > চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান

পরের সংবাদ

ব্রিজ নয় যেন মরণ ফাঁদ!

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : রাঙ্গাবালী উপজেলা সদরের গহীনখালী খালের ওপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটি ধসে পড়ার ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন সংস্কারবিহীন থাকায় দিন দিন ব্রিজটির পূর্বের চিহ্ন হারিয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষের পারাপারের এ মাধ্যমটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে! যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজটিতে মানুষের চলাচল কোনোভাবেই থামছে না। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ প্রতিনিয়ত শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করছেন। ব্রিজের দুপারে রয়েছে দুটি বাজার ও ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও তা সংস্কারের জন্য কোনো মাথা ব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।
জানা গেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর ও ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগের লক্ষ্যে গহীনখালি খালের ওপরে প্রায় দেড় যুগ আগে একটি আয়রন ব্রিজ নির্মিত হয়। অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণের কারণে ব্রিজের নিচ দিয়ে কার্গো, ট্রলার চলাচল করতে গিয়ে ধাক্কা লেগে ব্রিজটি নড়বড়ে হয়ে যায়। এরপরে ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড লাগিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়। এরই মধ্যে হঠাৎ করে ব্রিজটি ধসে পড়ে। ফলে দুই পারের স্কুল, কলেজপড়–য়া শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে একপর্যায়ে দুই পারের ব্যবসায়ীরা নিজেদের অর্থায়নে ও স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙা ব্রিজের পিলারের ওপরে কাঠ বসিয়ে পারাপার যোগ্য করে তোলেন। দীর্ঘদিন কাঠের ওপর দিয়ে মানুষ চলাচল করলেও এখন সেটিও নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত নতুন ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়নি। এদিকে থামছে না ব্রিজ দিয়ে মানুষের যাতায়াত। এ কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন ওই ব্রিজ দিয়ে রাঙ্গাবালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গহীনখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমলিবাড়িয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, হালিমা খাতুন মহিলা কলেজ ও ছোটবাইশদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী, নারী, বৃদ্ধা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করলেও কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল একেবারেই অসম্ভব। লোকজন ভারী বোঝা নিয়ে ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে না পেরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারিয়াম বলেন, আমরা প্রতিদিন এই ব্রিজ দিয়ে স্কুলে যাই। ব্রিজটি পার হওয়ার সময় শরীর কাঁপতে থাকে, খুব ভয় লাগে। অনেক কষ্ট করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাই। গহীনখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল কবির বলেন, আমরাই তো কখনো বিনা কারণে ওই ব্রিজে উঠতে সাহস করি না। আর ছোট ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভয়ে অনেকে স্কুলে আসতে চায় না।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খান বলেন, দীর্ঘদিন ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা এই ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো অগ্রগতি দেখছি না। তবে আশা করি অতি শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এলজিইডির রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিজানুল কবির জানান, বিষয়টি ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সংস্কার বা নির্মাণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়