টাইগ্রেসদের উড়ন্ত সূচনা পাকিস্তানকে হারিয়ে

আগের সংবাদ

খুনোখুনি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুলিশ : অবৈধ অস্ত্রের পাশাপশি বেড়েছে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার > চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান

পরের সংবাদ

পুলিশের টহল জোরদারের দাবি : ভোলাহাটে সড়কে ডাকাতি আতঙ্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি : সন্ধ্যা হলে ভোলাহাট-শিবগঞ্জ সড়কের ফলিমারি হতে সোনাজল আড়াই-তিন কিলোমিটার রাস্তায় হরহামেশা ঘটে ডাকাতির ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি বন্ধে স্থায়ী সমাধান জরুরি। পুলিশের নিয়মিত টহল জোরদার থাকলেও ঘটে ডাকাতির ঘটনা। এর স্থায়ী সমাধানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মতামত দিয়েছেন।
একজন সবজি চাষি মো. এহেশান আলী জানান, সরকার ডিজিটালভাবে দেশ পরিচালনা করেছে। আড়াই-তিন কিলোমিটার রাস্তা ডিজিটালের আওতায় আনলে ডাকাতি স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে পারে। তিনি বলেন, রাস্তার দুধারে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে থানায় বসে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
জনপ্রতিনিধি ইয়াজদানী জর্জ বলেন, রাস্তার দুধারে বিভিন্ন জাতের গাছ ভর্তি। ফলে এক প্রকার জঙ্গলে পরিণতি হয়েছে। তার কারণে সন্ধ্যা হলেই ভয়ে এ রাস্তা দিয়ে কেউ যাতায়াত করতে পারে না। ফলে গাছগুলো কেটে ফেললে রাস্তাটি ফাঁকা হলে অনেকটা আতঙ্ক দূর হবে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রাস্তাটির পশ্চিম দিক ভারতের খুব কাছাকাছি এবং ফাঁকা। ফলে ডাকাতের দল ওইদিকটা নিরাপদ রুট মনে করে রাস্তায় ডাকাতির সুযোগ সৃষ্টি করে। এ কারণে বিজিবি ও পুলিশের যৌথ টহল দিলে ডাকাতির ঘটনা স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. শাহানাজ খাতুন জানান, স্থায়ীভাবে ডাকাতি বন্ধে ফলিমারি থেকে সোনাজল দুই-আড়াই কিলোমিটার রাস্তার দুপাশে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের বাড়ি তৈরি করে বসতি স্থাপন করা যেতে পারে। এতে ডাকাতির ঘটনা স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মো. আশরাফুল হক চুনু জানান, বিশাল বড় বিলভাতিয়ায় কৃষি ইপিজেডের স্থাপনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে ডাকাতি বন্ধ হতে পারে।
এদিকে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. রেজাউল করিম জানান, ডাকাতি বন্ধ করতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জনতা, পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসসহ সবার সমন্বয়ে স্থায়ীভাবে ডাকাতি বন্ধ হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত মাসের ২৩ তারিখ রাত পৌনে ৮টায় দুটি ঢাকাগামী নৈশকোচে সোনাজল নামক স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এছাড়া প্রায়ই এ সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ফলে সন্ধ্যা হলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যদিও পুলিশের টহল থাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়