টাইগ্রেসদের উড়ন্ত সূচনা পাকিস্তানকে হারিয়ে

আগের সংবাদ

খুনোখুনি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুলিশ : অবৈধ অস্ত্রের পাশাপশি বেড়েছে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার > চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান

পরের সংবাদ

ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্র হত্যা মামলার রায় ২ ডিসেম্বর

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ডাকাত সন্দেহে রাজধানীর আমিনবাজারে ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য বিচারক ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন। একই সঙ্গে জামিন প্রাপ্ত সব (৫৮ জন) আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই রাতে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলার চরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন- ধানমন্ডির ম্যাপললিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম, মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, তৌহিদুর রহমান পলাশ, কামরুজ্জামান কান্ত, তেজগাঁও কলেজের ছাত্র টিপু সুলতান ও বিইউবিটির ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব। তবে ওই ঘটনায় তাদের বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হলেও বেঁচে যান। পরে আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ডাকাতি মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক। অপরদিকে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীকে আসামি করে আরেকটি মামলা করে।
এরপর চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি পুলিশ, সিআইডির হাত ঘুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে র‌্যাব তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি মামলার চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা নিরীহ ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে জখম করে। পরবর্তীতে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মসজিদের মাইকে সবাইকে ডাকাত আসার ঘোষণা দেয় এবং থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এ চার্জশিটে ৬০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়া ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডাকাতির মামলা মিথ্যা বলে তা খারিজের আবেদন করা হয়। পরে ২০১৩ সালের ৮ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন। বিচার চলাকালে মামলায় ৫৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়