টাইগ্রেসদের উড়ন্ত সূচনা পাকিস্তানকে হারিয়ে

আগের সংবাদ

খুনোখুনি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুলিশ : অবৈধ অস্ত্রের পাশাপশি বেড়েছে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার > চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান

পরের সংবাদ

ছয় মাসের মধ্যে পিপলস লিজিং চালুর প্রত্যাশা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আগামী ছয় মাসের মধ্যে পিপলস লিজিং এন্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কার্যক্রম চালু করতে চায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল সোমবার এক বৈঠকে পিপলস লিজিংকে এ রকম নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে। বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আর কোম্পানির পক্ষে পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসিকে পিপলস লিজিং এন্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের পর্ষদ জানিয়েছে, আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে কোম্পানিটি দ্রুত চালুর লক্ষ্যে কাজ চলছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক সামসুদ্দিন আহমেদ ভোরের কাগজকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনার পর আমাদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করতে আসে পিপলস লিজিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ। কোর্ট থেকে নির্দেশনা ছিল, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন তাদের নিয়মিত গাইডেন্স দেবে। সেই নির্দেশনা নিতেই তারা এসেছিলেন।
তিনি বলেন, আমানত ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমরা কোম্পানিটি চালুর চেষ্টা করছি। পরিকল্পনা অনুসারে বর্তমান পর্ষদ ও কোম্পানির কর্তৃপক্ষ কাজ করতে পারলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি পুনরুজ্জীবিত হবে। গত চার বছরে প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো এজিএম হয়নি। এজন্য বলেছি, তাদের অডিটর নিয়োগ দিতে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি জন্ম থেকেই যেহেতু সমস্যায় জর্জড়িত। সেজন্য আমরা একটি স্পেশাল অডিটের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া যেসব ক্ষেত্রে লোকবল নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে তা যেন সম্পন্ন করে।
দীর্ঘ চার মাসের বেশি সময় আগে আদালত থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এতদিন কেন বিএসইসি বিষয়টি আমলে নেয়নি? জানতে চাইলে সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমলে নেয়নি এমনটা নয়, কোর্ট থেকে যে আদেশ দেয়া হয়েছে তা এখন পর্যন্ত আমরা হাতে পাইনি। এমনকি নতুন পর্ষদও আমাদের এ বিষয়ে জানায়নি।
ডিএসইসির তথ্যমতে, ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ২৮ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ৫৯৭টি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৮ জুন পি কে হালদার কাণ্ডে আলোচনায় আসা আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং এন্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য একটি বোর্ডও গঠন করে দিয়েছেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস লিজিংকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে মেয়াদি আমানত ও বিভিন্ন ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ধার করে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে লোকসান দেয় ওই কোম্পানি। খেলাপি প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করতে না পারায় আমানতকারীদের টাকাও ফেরত দিতে পারেনি তারা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির আমানত ছিল ২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। আর ঋণের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা, এর মধ্যে খেলাপিই ৭৪৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ খেলাপি ঋণের হার ৬৬ শতাংশ। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই পিপলস লিজিং অবসায়নের জন্য আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই দিনই মামলার শুনানি শেষে অবসায়নের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন আদালত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়