টাইগ্রেসদের উড়ন্ত সূচনা পাকিস্তানকে হারিয়ে

আগের সংবাদ

খুনোখুনি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুলিশ : অবৈধ অস্ত্রের পাশাপশি বেড়েছে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার > চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান

পরের সংবাদ

চুরি করা ট্রাকে চড়ে ৩ মার্কেটে ডাকাতি! র‌্যাবে অভিযানে গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বগুড়ায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- দলনেতা দেলোয়ার হোসেন (৩৫), মো. আব্দুল হালিম মিয়া জুয়েল (২৮), আলী হোসেন (৫৬), মো. সুমন মুন্সি (২০) ও মো. হুমায়ুন কবির (৩৫)। অন্যান্য কাজ করলেও ডাকাতিই তাদের মূল পেশা। গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে ট্রাকে চড়ে দলবেঁধে বগুড়ার গাবতলী থানার দুর্গাহাটা বাজারের তিন মার্কেটে ডাকাতি করে তারা। নিরাপত্তায় নিয়োজিত নৈশপ্রহরীদের হাত-পা বেঁধে ৯টি দোকানের তালা কেটে ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দলটি।
দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র?্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, দোকানের মালিকদের পক্ষ থেকে ডাকাতির ঘটনার পরদিন গাবতলী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হলে আমরা সমতার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করি। পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও নৈশ প্রহরীদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে শনাক্ত শেষে গত রবিবার রাতে আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুর্গাহাটা বাজারে ডাকাতির সময় লুণ্ঠিত মালামালও উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এ সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য সংখ্যা ১২-১৫ জন। দলটি ট্রাকে করে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ডাকাতি করে থাকে তারা। ইতোপূর্বে তারা ঢাকা, মানিকগঞ্জ, কালামপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিংগাইর ও সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় দলবদ্ধভাবে ডাকাতি করেছে বলে জানায়। বগুড়ার গাবতলীতে ডাকাতির ঘটনায় বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ডাকাত দলের সরদার দেলোয়ারের নির্দেশে তার দলের দুজন সহযোগী আটক হালিম এবং সুমন গত ২৬-২৭ অক্টোবর দুর্গাহাটা বাজারে যায়। এ সময় তারা মূল্যবান সামগ্রীসহ দোকান, রাত্রিকালে নৈশপ্রহরীর সংখ্যা ও অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করে। প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ শেষে দেলোয়ার ও কবির ডাকাতির বিস্তারিত পরিকল্পনা করে। দেলোয়ার ও কবির ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের একত্রিত করে ও পরিকল্পনা মোতাবেক ডাকাত দলের ৯ জন ঘটনার আগের দিন বিকালে সাভারের নবীনগরে একত্রিত হয়ে বগুড়ার গাবতলীর উদ্দেশে চুবিকৃত ট্রাকে ডাকাতি করে তারা। ডাকাতি শেষে সাভারের নবীনগরে আসার সময় লুণ্ঠন করা মালামালের মধ্যে গার্মেন্টসের কাপড়গুলো একটি মার্কেটে বিক্রি করে। আর টিভি, মোবাইল ও অর্থ তারা নিজেরা ভাগাভাগি করে নেয়। এছাড়া বেশ কিছু স্বর্ণালংকার তারা জুয়েলার্সের দোকানে বিক্রি করে বলে জানায়। ডাকাত দলের সরদার দেলোয়ার হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, গত ৬-৭ বছর ধরে সে এ কাজ করছে। তার নামে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন থানায় চারটি ডাকাতিসহ চুরি ও মাদকের মামলা রয়েছে। ডাকাত দল ও লুণ্ঠন করা মালামাল পরিবহনে আটক হুমায়ুন কবির একটি ট্রাক সরবরাহ করে ডাকাতিতে অংশ নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে কবির স্বীকার করে, ডাকাতির কাজে ব্যবহার করার উদ্দেশেই সে এ ট্রাকটি চুরি করে। আগেও তারা চুরি করা ট্রাক দিয়ে ডাকাতি করেছে। তার নামে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানায় ডাকাতির একটি মামলা রয়েছে। আটক আলী হোসেন, আব্দুল হালিম ও সুমন মুন্সি দুর্গাহাটা বাজারে সংগঠিত ডাকাতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। ডাকাতিকালে বিভিন্ন দোকানের তালা ভাঙা, মালামাল বস্তায় লোড ও সর্বশেষ ট্রাক লোডের কাজে সহায়তা করে। আন্তঃজেলা ডাকাত দলের পলাতক অন্যান্য সদস্যদের আটক ও লুণ্ঠন করা অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়