টাইগ্রেসদের উড়ন্ত সূচনা পাকিস্তানকে হারিয়ে

আগের সংবাদ

খুনোখুনি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুলিশ : অবৈধ অস্ত্রের পাশাপশি বেড়েছে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার > চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান

পরের সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর নির্বাচন : বিদ্রোহী প্রার্থীর হুমকিতে ৩ বছর এলাকা ছাড়া ব্যবসায়ী

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি : আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর নির্বাচনে যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত সামিউল হক লিটনের হুমকি-ধমকিতে অতিষ্ঠ এক চাল ব্যবসায়ীর পরিবার। এমনকি তার ভয়ে তিন বছর ধরে এলাকা ছাড়া ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে তার পরিবারের সদস্যদেরও প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে। হুমায়ুন কবির সোহাগ নামের ওই চাল ব্যবসায়ী এখন প্রকাশ্যে আসতে পারছেন না। এছাড়া তার মায়ের জানাজাতেও উপস্থিত হতে পারেননি। বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা সামিউল হক লিটন আগামী ৩০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী হওয়ায় ইতোমধ্যে তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। ভুক্তভোগী চাল ব্যবসায়ীর বোন শবনম মুস্তারী অভিযোগ করেন, নানাভাবে লিটন ও তার লোকজন বাসার সামনে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমনকি বাড়িটিও নিজের সম্পত্তি বলে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। পরে নিজেদের প্রায় দুই কাঠা জমিসহ শহরে পাকা বাড়ি মাত্র ৪২ লাখ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন তারা।
শবনম মুস্তারী বলেন, আমাদের বাড়িটি কেউ নিতে চাইছিল না। কারণ ক্রেতাদের বাড়িটি না কিনতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছিল লিটন ও তার লোকজন। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে নিজের বাড়ি বিক্রি করে প্রফেসর পাড়ায় ভাইয়ের বাসায় অবস্থান করছেন তারা। শবনম মুস্তারী আরো বলেন, ৩ বছর আগে হঠাৎ চালের দাম কমে যায়। ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কায় হুমায়ুন ও তার পার্টনার চাল বিক্রি করতে বিলম্ব করছিল। লিটন তাদের বিক্রি করে দেয়ার পরামর্শ দেয়। এরপর তারা লোকসান করেই সেসব চাল বিক্রি করে দেয়।
তিনি আরো বলেন, লোকসান করে চাল বিক্রির পর হুমায়ুনের পার্টনার ডনও তার সঙ্গে প্রতারণা করে। ডন ও তার বাবা ক্রেতাদের কাছ থেকে সব টাকা উঠিয়ে নেয়। আর ভুক্তভোগী হয় আমার ভাই হুমায়ুন। লিটন এরপর ডনকে বাদ দিয়ে আমার ভাইয়ের কাছে টাকার দাবিতে অত্যাচার শুরু করে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ডনের দোকানে সালিশ বসানো হয়। সালিশে ৫০ লাখ টাকায় সমাধান হয় এমনকি টাকাও পরিশোধ করে আমার ভাই। তারপরও ১৭ লাখ টাকার দাবিতে গত ৩ বছর ধরে নানাভাবে জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে। এখন ডাবল ৩৪ লাখ টাকা দাবি করছে।
তবে সামিউল হক লিটন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, হুয়ায়ুনের কাছে তিনি টাকা পাবেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসাও হয় চার বছর আগে। তবে শেষ পর্যন্ত সে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি। তিনি কাউকে টাকা পয়সার জন্য কোনো হুমকি-ধমকি দেননি বলে জানান। এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়