টাইগ্রেসদের উড়ন্ত সূচনা পাকিস্তানকে হারিয়ে

আগের সংবাদ

খুনোখুনি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুলিশ : অবৈধ অস্ত্রের পাশাপশি বেড়েছে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার > চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান

পরের সংবাদ

কয়রা পোস্ট অফিস : ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলে কার্যক্রম

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ সিরাজউদ্দৌলা লিংকন, কয়রা (খুলনা) থেকে : কয়রা উপজেলার পোস্ট অফিসের সব কার্যক্রম চলছে পুরনো জীর্ণশীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। সেবা নিতে আসা মানুষ ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের গায়ে খসে পড়ছে পলেস্তারা। নেই কোনো সীমানাপ্রাচীর। একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভবন মেরামত ও সংস্কারের আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি বলে জানিয়েছেন পোস্টমাস্টার মাহবুবুল আলম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার পোস্ট অফিসের ভবন ১৯৮৫ সালে নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে ভবনটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে ভবনের ছাদ দিয়ে পানি ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি ভঙ্গুর আসবাবপত্র ও আসবাবপত্রের অভাবে কক্ষের ভেতরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি সংরক্ষণ কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব নথি ইঁদুর ও তেলাপোকায় খাচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আওতাধীন উপজেলার ইউনিয়ন গ্রামীণ ১৭টি পোস্ট অফিসের দায়িত্বে থাকা ৫৫ জন ব্রাঞ্চ পোস্টমাস্টার দেখভাল করছেন। ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সম্মানী ভাতা দেয়া হলেও গ্রামীণ পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টাদের কার্যক্রম পরিচালনায় এসব অফিসগুলোতেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি।
স্থানীয় আরিফুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি জানান, ঢাকায় একটি চিঠি পাঠাব। তাই উপজেলা পোস্ট অফিসে এসে দেখি ডাক বিভাগের কার্যক্রম অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ভবনের অবস্থাও ভঙ্গুর। সনাতন পদ্ধতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেবা দিচ্ছেন। ডিজিটালের ছোঁয়া এখানে নেই বললেই চলে। এতে অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পোস্টমাস্টার বলেন, প্রতি সপ্তাহে সাধারণ ও রেজিস্ট্রার ৪০০-৫০০ চিঠি রিসিভ বা বিতরণ করতে হয়। ডাক বিভাগের সব কার্যক্রম বাসা কিংবা দোকান থেকেই পরিচালনা করতে হয়। যদি প্রত্যেকটি গ্রামীণ পোস্ট অফিসের জন্য একটি করে ভবন নির্মাণ হয় তাহলে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সব সেবা সহজে মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেয়া যাবে।
উপজেলা পোস্ট অফিসের আরো এক কর্মকর্তা জানান, উপজেলার ১৭টি গ্রামীণ পোস্ট অফিসসহ সব কার্যক্রম উপজেলা পোস্ট অফিস থেকে পরিচালনা করা হয়। উপজেলা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রতিদিন সরকারের অনেক রাজস্ব আদায় হচ্ছে। ভবন ও আসবাবপত্র অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে গেছে। উপজেলা পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার মাহবুবুল আলম বলেন, কয়রা পোস্ট অফিসের কার্যক্রম ডিজিটাইজ না হওয়ায় অনেক সময় সেবা দেয়া যাচ্ছে না। যে ভবনে কার্যক্রম চলছে সেটিও ধসে ধসে পড়ছে। অনেক পুরাতন হওয়ায় ভবনের অনেক অংশ ভেঙে গেছে। উপজেলা পোস্ট অফিসের নতুন ভবন ও সীমানাপ্রাচীর অত্যন্ত জরুরি।
খুলনা (দক্ষিণাঞ্চল) অতিরিক্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. আবু তালেব বলেন, উপজেলা পোস্ট অফিসের ভবনের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অতিদ্রুত ভবন ও সীমানাপ্রাচীরের কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন. সরকার পোস্ট অফিসের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন ও সেই অনুযায়ী উপজেলা ও গ্রামীণ পোস্ট অফিসের কার্যক্রম ডিজিটাল ও আধুনিকায়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়