গুলশানের ইউনিমার্ট ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

আগের সংবাদ

ধাক্কা কাটিয়ে চাঙ্গা অর্থনীতি

পরের সংবাদ

তুহিন হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ৫ : বাধা দিলে দ্বিধা করে না খুন করতেও

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গাজীপুরের ক্লুলেস মেহেদী হাসান তুহিন (২৩) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সুমন হোসেন, হযরত আলী, মাসুদ রানা, অলিয়ার রহমান ওরফে রাজু ও ফখরুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারী চক্রের এ সদস্যরা কেউ নির্মাণ শ্রমিক, কেউবা অটোরিকশাচালক আবার কেউ দিনমজুর। এসব পেশার আড়ালেই রাতে মিলিত হয় তারা। এরপর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর চৌরাস্তা-টাঙ্গাইল অংশে ফাঁকা ও নির্জন স্থানে সুযোগ বুঝে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও সিএনজির মতো বিভিন্ন যানবাহন আটকে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুট করে পালিয়ে যায় তারা। বাধা দিলেই ঘটে বিপত্তি। হত্যা করতেও দ্বিধা করে না তারা। আর বাধা দিতে গিয়েই এ চক্রের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান তুহিন।
মেহেদী হাসানকে খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডি এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে গতকাল রবিবার সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, নিহত মেহেদীর বাড়ি গাজীপুরের বাসন থানার মজলিশপুর কাজীপাড়ায়। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। মেহেদী লেখাপড়ার পাশাপাশি গত ৬ মাস ধরে জিএমপির কোনাবাড়ীর রুনু সুপার মার্কেটের একটি অপ্পো মোবাইল কোম্পানির দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। গত ১২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা গলা কেটে হত্যা করে মেহেদী হাসান তুহিনকে। ওই ঘটনায় বাসন থানায় মামলা হলে সিআইডি ছায়াতদন্ত শুরু করে ক্লুলেস মামলার রহস্য উন্মোচন করে। অভিযান পরিচালনা করে মেহেদী হত্যায় জড়িত সুমন হোসেন ও হযরত আলীকে কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পেশায় দুজনই ইট-বালুর শ্রমিক। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাসের হেলপার মাসুদ রানা, ইট-বালুর শ্রমিক রাজু ও অটোচালক ফখরুল ইসলামকে ছিনতাইকালে ব্যবহৃত অটোরিকশাসহ রাজধানীর ডেমরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, মেহেদী কোনাবাড়ীর রুনু মার্কেটের লোটাস টেলিকম থেকে কাজ শেষে মজলিশপুরের ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। নাওজোড় এলাকার আব্দুল মালেক সরকার নিউ সুপার মার্কেটের সামনে পৌঁছলে তার কাছে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। তখন মেহেদী প্রতিরোধ করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মেহেদী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে ধারালো চাপাতি দিয়ে গলা কেটে দ্রুত পালিয়ে যায় চক্রের সদস্যরা।
এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তা ধর বলেন, দিনের কর্মযজ্ঞ দেখে কারো বোঝার উপায় নেই গ্রেপ্তারকৃতরাই রাতের ভয়ংকর ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। এই চক্রের সদস্য ১০-১২ জন। তারা গত দুই বছর ধরে ছিনতাই কর্মে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মাসুদ রানা একাধিক মামলার আসামি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়