গুলশানের ইউনিমার্ট ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

আগের সংবাদ

ধাক্কা কাটিয়ে চাঙ্গা অর্থনীতি

পরের সংবাদ

চসিক মেয়র ও চউক চেয়ারম্যানের অঙ্গীকার : পারস্পরিক দোষারোপ নয়, সমন্বিতভাবে কাজ করব

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : জলাবদ্ধতা, নগরীর উন্মুক্ত নালায় পড়ে মানুষের মৃত্যু, ফ্লাইওভারে ফাটল ইত্যাদি নিয়ে যখন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কর্মকর্তারা একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে আসছেন তখন আবার দুই সংস্থর প্রধানই বললেন- চট্টগ্রামের উন্নয়নে চউক ও চসিক একে অপরের পরিপূরক। তারা সমন্বিতভাবে কাজ করবেন। তবে নগরীর সচেতন নাগরিকরা বলছেন, শুধু কোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে এমন মনভোলানো কথা বলে নয় এ দুটি সংস্থা নগরীর উন্নয়ন তথা নগরবাসীকে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে তার প্রমাণ রাখতে হবে। না হলে তা শুধু লোক দেখানো কথাতেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে। গত শনিবার সন্ধ্যায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী অনুষ্ঠানে এই দুই সংস্থার প্রধান নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের কথা বললেন। সংগঠনের চেয়ারম্যান স্থপতি আশিক ইমরানের সভাপতিত্বে স্থপতি বিজয় তালুকদার ও সিনথিয়া শবনমের সঞ্চালনায় দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সমাপনী দিনে আরো বক্তব্য রাখেন- সাবেক সভাপতি জালাল আহমদ। উপস্থিত ছিলেন- স্থপতি বিধান বড়–য়া, আহমেদ জিন্নুর চৌধুরী, চউক-এর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম খান, নাজমা সুরাইয়া খান, নাজমুল লতিফসহ (সুহাইল) ঢাকা ও চট্টগ্রামের স্থপতি ও শিক্ষার্থীরা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের অভিযাত্রায় এই দুই সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চট্টগ্রামকে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের সবার সমন্বিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে হবে। দৃশ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধানে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিষ্ঠানগত সাংঘর্ষিক বিষয়গুলোকে এড়িয়ে গিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
এই অনুষ্ঠানেই বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে এবং জলাবদ্ধতা নিরসনসহ যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ওপর দায়-দায়িত্ব বর্তেছে তা বাস্তবায়নে চসিকসহ প্রত্যেকটি সেবা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা একে অপরের ওপর কোনোভাবে দোষ চাপাতে পারি না। তাই একসঙ্গে একটি সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারাদেশের মঙ্গল ও কল্যাণ নিশ্চিত হবে।
এই দুই উন্নয়ন সংস্থার প্রধানের বক্তব্য নিয়ে ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান স্থপতি আশিক ইমরানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গতকাল রবিবার তিনি ভোরের কাগজকে কিছুটা সংশয় নিয়েই বলেন, ‘আমরা আশাবাদী হতে চাই ওনাদের কথায় এবং আচার-আচরণে। যদিও আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।
একজন আরেকজনের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন নানা অজুহাতে। তাই আমরা চট্টগ্রামের উন্নয়ন স্বার্থে দেশের উন্নয়নের জন্য চট্টগ্রামের এই দুটি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় দেখতে চাই। আমরা কাদা ছোড়াছুড়ি দেখতে চাই না। ওনারা তো আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অঙ্গীকার করেছেন সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য। দেখা যাক কী হয়।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়