গুলশানের ইউনিমার্ট ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

আগের সংবাদ

ধাক্কা কাটিয়ে চাঙ্গা অর্থনীতি

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে বস্তিতে শুরু গণটিকা কার্যক্রম

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নিবন্ধনের ঝামেলা, অজানা শঙ্কা ও অসচেতনতার কারণে চট্টগ্রামের অনেক বস্তিবাসী করোনা টিকা নিতে পারেননি বা আগ্রহী ছিলেন না। তবে এরই মধ্যে নগরীতে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার থেকে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে টিকা দেয়া শুরু হয়। পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধও করা হচ্ছে।
প্রথমদিনে নগরীর খুলশী থানার আমবাগান এলাকায় ছিন্নমূল বস্তিতে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দুপুর ২টা থেকে করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়। নগরীর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমবাগান এলাকায় রেললাইনের পাশে চট্টগ্রাম মহানগর ছিন্নমূল সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের কার্যালয়ে স্থাপিত একটি বুথে টিকা দেয়া হচ্ছিল। আশপাশের কলোনি থেকে কয়েকশ বাসিন্দা টিকা নিতে যান, যাদের অধিকাংশই নারী। ছিন্নমূল পরিষদের স্বেচ্ছাসেবীদেরকে সুশৃঙ্খলভাবে তাদের সারিবদ্ধ করে টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে দেখা গেছে। এদিকে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের উদ্যোগে আজ সোমবার তৃতীয় লিঙ্গের ৫০০ জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে বলে জানা গেছে। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ টিকা দেয়া হবে। তবে বস্তিবাসীদের অনেকেই শঙ্কায় ছিলেন টিকা নিতে পারবেন কিনা। কখনো স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে যাচ্ছিলেন, আবার স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে গিয়ে অনুরোধ করছিলেন তাদের টিকা দেয়ার জন্য। জানা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হচ্ছে বস্তিবাসীদেরকে।
তবে এর আগে টিকার প্রথম ডোজ নেয়া কেউ কেউ টিকা নিতে হাজির হয়েছিলেন টিকাদান কেন্দ্রে। সেজন্য টিকাদানকর্মীরা টিকা দেয়ার আগে বারবার আগে নিয়েছেন কিনা, সেটি জিজ্ঞেস করছেন।
চট্টগ্রামের ডেপুটি জেলা সিভিল সার্জন আসিফ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথমদিনে আমরা ৫০০ জনকে টিকা দেয়ার টার্গেট নিয়েছি। তবে আমাদের কাছে আরো ১০০ বেশি মজুদ আছে। বস্তিবাসীরা স্বেচ্ছায় টিকা নিতে আসছেন। মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার আমবাগান বস্তিতে একই স্থানে টিকা দেয়া হবে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বস্তিতেও একই প্রক্রিয়ায় টিকা দেয়া হবে।’
স্থানীয় ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার মানিক বলেন, ‘আমবাগান বস্তিতে প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা আছেন। তাদের অধিকাংশই টিকা পাননি। গণটিকা কর্মসূচির সময় আমরা বস্তিবাসীদের টিকা পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু উনারা অনেকেই তখন আসেননি। আমরা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে বিষয়টি জানালে উনারা আবার টিকা দেয়ার উদ্যোগ নেন। আমরা বস্তিবাসীকে টিকা নেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়