মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ১২৪

আগের সংবাদ

যোগ্যরা নৌকা পাননি যে কারণে : ‘বিদ্রোহী’ তকমায় মনোনয়ন পাচ্ছেন না জনপ্রিয়রা, আর্থিক কারণেও যোগ্যদের নাম আসছে না কেন্দ্রে

পরের সংবাদ

মিথ্যা ঘোষণায় শুল্ক ফাঁকি : খালাসের সময় বিপুল পণ্য আটক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : কম্বল প্রস্তুতের জন্য ব্ল্যাঙ্কেট ফেব্রিক্স আমদানির শুল্কমুক্ত সুবিধার সুযোগ নিয়ে তার পরিবর্তে কম্বল, জায়নামাজ, প্রসাধনীসহ ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানি করেছিল পাবনা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে তা আটকে গেছে চট্টগ্রাম বন্দরেই। চালানটিতে ১ হাজার ৫৫১টি কম্বল, ৪৮৩টি জায়নামাজ, ১২০ কেজি প্রসাধনী, ২০০ কেজি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য পাওয়া গেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৭ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি দিতে চেয়েছিল। ওই কন্টেইনারে ৮ হাজার ৪০০ কেজি পণ্য থাকার ঘোষণা দিয়েছিল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু পাওয়া গেছে ৭ হাজার ৫৭০ কেজি পণ্য।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পাবনা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এমজিএল কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (ঠিকানা : এসএফবি-২, প্লট নং -৬৪-৬৯, ইশ্বরদী ইপিজেড, পাকশী, পাবনা, বিআইএন : ০০১৯৫৪৮২৫-১১০৫) নামে মরিশাস থেকে চালানটি এসেছে। কম্বল প্রস্তুতের জন্য শতভাগ ফেব্রিক্সের ঘোষণায় চালানটি আমদানি করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি মরিশাসের পোর্ট লুইস থেকে ‘এমভি কোটা নাজের’ জাহাজ যোগে কনটেইনারটি (ডিএফএসইউ-৬৬৯১৫৯৯) চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারকের মনোনীত চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ নূর চেম্বারের সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনাল ১৭ জুলাই বিল অব এন্ট্রি (নম্বর : সি-১৬১৫১৭) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে নোটিং করে। কিন্তু এ পণ্য চালানের বিষয়ে গোপন সংবাদ থাকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য চালানটি অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে লক করে দেয়, যাতে পণ্য খালাস করতে না পারে আমদানিকারক। চট্টগ্রাম বন্দরের জেআর কনটেইনার ইয়ার্ডে কনটেইনারটি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম ফোর্স কিপ-ডাউন করে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কায়িক পরীক্ষাকালে কনটেইনার থেকে সব পণ্য বের করে আনার পর ২৩৮টি প্যাকেজের প্রায় প্রতিটি প্যাকেজে ইনার প্যাকেজের গায়ে প্রেরক ও প্রাপকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ কাপড় সেলাই করা অবস্থায় পাওয়া যায়। কাস্টমসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার শরিফউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি এবং কর্মকর্তাদের চেষ্টায় আন্তরিকতায় শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়া সম্ভব হয়েছে। ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ টাকার রাজস্ব। এ ঘটনায় কাস্টমস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়