মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ১২৪

আগের সংবাদ

যোগ্যরা নৌকা পাননি যে কারণে : ‘বিদ্রোহী’ তকমায় মনোনয়ন পাচ্ছেন না জনপ্রিয়রা, আর্থিক কারণেও যোগ্যদের নাম আসছে না কেন্দ্রে

পরের সংবাদ

মামলার পর বাবার বিরুদ্ধে ‘মৃত’ ছেলের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আমান উল্যা আমান, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) থেকে : ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সম্পত্তি দখলে নিতে ছেলেকে মৃত দেখিয়েছেন জন্মদাতা বাবা আহাম্মদ উল্যা বেপারি। এ ব্যাপারে বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সেই মৃত ছেলে। গত শুক্রবার ওই মামলায় বাবাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান সেই মৃত ছেলে। বাবার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে জানাতে গতকাল শনিবার সকালে ফরিদগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ছেলে প্রবাসী এমরান হোসেন জহির প্রকাশ ঝুটন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার বাবা আহাম্মদ উল্যা বেপারি প্রথম স্ত্রী খুরশিদা বেগমের ছেলে। এই ঘরে তার আরেক বোন খাদিজা বেগম লাকি বর্তমানে যিনি মৃত। আমার মায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন বাবা এবং সেই ঘরে সৎমা এবং তিন বোন রয়েছে। জন্মের পর থেকে আমি বাবার আদর স্নেহ-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হলেও জীবিকার টানে প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে বাবার সার্বক্ষণিক দেখভাল করেছি। তাকে খোরপোশ বাবদ টাকা এবং সৎবোনের বিয়ে এবং বাবার চোখের অপারেশরে জন্য টাকা দিয়েছি।
কিন্তু আমার সেই জন্মদাতা বাবা আমাকে মৃত দেখিয়ে গত ২০১০ সালে ৮ আগস্ট আমাদের স্থানীয় ১১নং চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে তৎকালীন চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ পাটওয়ারী ও সচিবের স্বাক্ষরে নিজের নামে ওয়ারিশ সনদ গ্রহণ করেন। একই তারিখে তিনি আমার বোন খাদিজা বেগম লাকির মৃত্যুর সনদ দেখান। এরপর নিজেকে একক ওয়ারিশ দেখিয়ে সনদ গ্রহণ করেন। ফলে আমি আজ আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেও আমার বাবার কাছে আমি মৃত। জন্মদাতা হয়ে তিনি কীভাবে শুধুমাত্র সম্পত্তির লোভে নিজের ঔরসজাত সন্তানকে মৃত দেখালেন।
তিনি বলেন, আমি প্রবাস থেকে গত দেড় মাস আগে দেশে ফিরে আসার পর ফুফু কর্তৃক আমাকে দান করা ও আরেক ফুফু থেকে ক্রয়কৃত জমিতে বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে বাধার সম্মুখীন হই। একপর্যায়ে এর কারণ জানতে গিয়ে বাবার এসব কুকর্মের কথা জানতে পারি। এলাকায় এ বিষয়ে কয়েকবার আমাদের স্থানীয়ভাবে সালিশি হলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় আমি বাধ্য হয়ে গত ১৮ নভেম্বর চাঁদপুর আদালতে অভিযোগ করি। পরে আদালতের নির্দেশে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। ওই দিন রাতেই আমার বাবাকে আটক করে। পরদিন শুক্রবার পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়। এরপর আদালত আমার বাবাকে জেলহাজতে পাঠান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়