মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ১২৪

আগের সংবাদ

যোগ্যরা নৌকা পাননি যে কারণে : ‘বিদ্রোহী’ তকমায় মনোনয়ন পাচ্ছেন না জনপ্রিয়রা, আর্থিক কারণেও যোগ্যদের নাম আসছে না কেন্দ্রে

পরের সংবাদ

জাতীয় কর্মশালায় চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞরা : বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য সমস্যা আরওপিজনিত শিশু অন্ধত্ব

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে প্রতি বছর আনুমানিক ৩৮ লাখ শিশু জন্ম নেয়। যার মধ্যে ৪ লাখ ৩৮ হাজার শিশু অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেয়। অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেয়া শিশুদের একটি বড় অংশ রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি (আরওপি) বা আরওপিজনিত শিশু অন্ধত্বের ঝুঁকিতে থাকে। আর তাই আরওপিজনিত শিশু অন্ধত্বকে বাংলাদেশের জন্য এক ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন দেশের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞরা। গতকাল শনিবার রাজধানীতে আরওপিবিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় বক্তারা এসব তথ্য জানান। ডিজিএইচএসের পরিচালক ডা. মো. শামসুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও আইএপিবি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধান ডা. সানজানা ভরদ্বাজ, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ এবং আইআরডি গেøাবাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. তাপস রায়। বাংলাদেশে আরওপির কারণে শৈশব অন্ধত্ব এড়ানোর জন্য একটি সক্রিয় সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার লক্ষ্যে ডিজিএমই, আইআরডি গেøাবাল, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল এবং ইউনিসেফের সহায়তায় ডিজিএইচএস’র এনএনএইচপি এবং আইএমসিআই প্রোগ্রাম এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় উত্থাপিত তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১১০ কোটি মানুষের দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ছিল, যাদের মধ্যে ৪ কোটি ৩৩ লাখই অন্ধ। প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে ১ জনের বিশ্বব্যাপী কোনো না কোনো দৃষ্টিজনিত সমস্যা রয়েছে এবং আরওপি শৈশবকালে

সম্মুখীন হওয়া সমস্যার জন্য দায়ী, চিকিৎসা না করলে অন্ধত্ব সৃষ্টি করতে পারে।
অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আরওপি অপরিণত শিশুদের একটি গুরুতর সমস্যা। আমরা মাতৃ, নবজাতক ও শিশুস্বাস্থ্য পরিকল্পনার সংশোধিত সংস্করণে এবং ন্যাশনাল আইকেয়ার পরিকল্পনায় ভবিষ্যতে আরওপি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করব।
অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেন বলেন, আমরা ২০০০ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অফথালমোলোজির পেডিয়াট্রিক অপথালমোলজি বিভাগ চালু করে একটি সংগঠিত পদ্ধতিতে শৈশব অন্ধত্ব নিয়ে কাজ শুরু করি। আমরা ২টি প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ শুরু করেছি। ২০০৩ সালে আমরা একটি প্রোগ্রাম শুরু করি যেখানে আমরা মাঠ পর্যায়ে শৈশব অন্ধত্বে আক্রান্ত শিশুদের শনাক্ত করি এবং ২০১০ সাল পর্যন্ত ২৫ হাজার শিশুর চোখের অস্ত্রোপচার করি। এ পর্যন্ত আমরা সারাদেশে ২২টি শিশু চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি। যদিও আমরা ডব্লিউএইচও দ্বারা নির্ধারিত শূন্য দশমিক ৫ মাপকাঠিতে পৌঁছতে পারিনি। দেশে শিশু অন্ধত্ব ২০০৩ সালে শূন্য দশমিক ৮ থেকে ২০১৭ সালে শূন্য দশমিক ৬-এ নেমে এসেছে। আরওপি প্রতিরোধে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে শক্তিশালীকরণ, অপরিণত অবস্থায় জন্ম রোধ এবং লেবার রুম প্রোটোকল নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন তিনি।
ডা. মুনির আহমেদ বলেন, আরওপি অন্ধত্বজনিত এমন একটি রোগ যা সময়মতো স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা করালে প্রতিরোধ করা যায়। শিশুদের জন্মের ২০-৩০ দিনের মধ্যে চোখের স্ক্রিনিং নিশ্চিত করতে হবে। আরওপি প্রতিরোধে আমাদের সংগঠিতভাবে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়