মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ১২৪

আগের সংবাদ

যোগ্যরা নৌকা পাননি যে কারণে : ‘বিদ্রোহী’ তকমায় মনোনয়ন পাচ্ছেন না জনপ্রিয়রা, আর্থিক কারণেও যোগ্যদের নাম আসছে না কেন্দ্রে

পরের সংবাদ

ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ডি ভিলিয়ার্স

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ক্রিকেট জগতে ১৭ বছর আগেই যাত্রা শুরু করেছিলেন বিশ্বের অন্যতম ব্যাটসম্যান আব্রাহাম বেঞ্জামিন ডি ভিলিয়ার্স। ক্রিকেট বিশ্বে অনন্য এক নাম এ বি ডি ভিলিয়ার্স। জাতীয় দল থেকে তিন বছর আগে অবসর নিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। এরপর খেলে গেছেন বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে। আইপিএলের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (আরসিবি) থেকে শুরু করে বিগ ব্যাশ, পাকিস্তান সুপার লিগ, ইংল্যান্ডের ভাইটালিটি ব্লাস্ট, বিপিএলে বংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অধিনায়ক ফেসবুকে আবেগঘন পোস্টের মাধ্যমে সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই বিদায়ের ঘোষণা দিলেন।
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ভিলিয়ার্স লিখেছেন, আগে যেমন আবেগ, আগ্রহ-উদ্দীপনা নিয়ে ক্রিকেট খেলতাম, এই সময়ে এসে তেমন আবেগ, আগ্রহ-উদ্দীপনা পাচ্ছি না বলেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, ‘ক্রিকেট জগতে আমার যাত্রাটা ছিল অসাধারণ। সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে অসাধারণ সময় কাটিয়েছি। সময়টা খুব উপভোগ করেছি। কিন্তু এখন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি জানান, ছোটবেলায় যখন বাড়ির উঠানে ক্রিকেট খেলতাম, তখন থেকেই খেলাটা উপভোগ করেছি, অনেক আগ্রহ নিয়ে খেলেছি। এখন এই বয়সে এসে সেই আগ্রহ অত বেশি কাজ করছে না। এটাই বাস্তবতা, যা আমাকে মেনে নিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘হয়তো আমার এই সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক হতে পারে। তা আমি এই ঘোষণাটা দিচ্ছি। আমার সময় হয়ে গিয়েছে। ক্রিকেট থেকে অনেক কিছু পেয়েছি আমি। দক্ষিণ আফ্রিকা, আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, টাইটানস কিংবা বিশ্বের অন্য যে কোনো জায়গায় যেখানেই খেলি না কেন, এই খেলা আমায় অনেক কিছু দিয়েছে, যার জন্য আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। বিদায়বেলায় পরিবার থেকে শুরু করে ক্যারিয়ারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডি ভিলিয়াস, ‘আমি জানি এত কিছু কখনোই সম্ভব হতো না, যদি না আমার পরিবার, আমার বাবা-মা, আমার ভাই, আমার স্ত্রী ড্যানিয়েল এবং আমার সন্তানরা আমার ক্যারিয়ারের জন্য ত্যাগ স্বীকার না করত। আমি আমার জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য অধীরভাবে অপেক্ষা করছি, যে অধ্যায়ে তারাই থাকবে আমার মূল অগ্রাধিকার।’ আমি আমার প্রত্যেক সতীর্থকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, প্রত্যেক প্রতিপক্ষ, প্রত্যেক কোচ, প্রত্যেক চিকিৎসাকর্মী ও প্রত্যেক কর্মীকে যারা আমার এই যাত্রায় আমার সঙ্গে ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতসহ বিশ্বের যে জায়গায় আমি খেলেছি, সেখানেই সমর্থন পেয়েছি। যার জন্য তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ২০০৩ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন ডি ভিলিয়ার্স। দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১১৪ টেস্ট, ২২৮ ওয়ানডে ও ৭৮ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। ২০২০ সালে জাতীয় দলের হয়ে আবারো ফিরতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বোর্ড কর্তাদের অনাগ্রহের কারণে সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি। ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে খেলার পর তিনি যোগ দেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরে। ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ১০ বছরে ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ১৫৭ ম্যাচে ৪৫২২ রান করেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২০ হাজার ১৪ রান করেন সাবেক এই অধিনায়ক। টেস্ট ও ওয়ানডেতে রয়েছে পঞ্চাশের অধিক গড় রান। আবার ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত সেঞ্চুরি করার রেকর্ডও নিজের দখলে রেখেছেন ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩১ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। শুধু সেঞ্চুরির রেকর্ডই নয় একই ম্যাচে সবচেয়ে কম বলে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরিও করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়