মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ১২৪

আগের সংবাদ

যোগ্যরা নৌকা পাননি যে কারণে : ‘বিদ্রোহী’ তকমায় মনোনয়ন পাচ্ছেন না জনপ্রিয়রা, আর্থিক কারণেও যোগ্যদের নাম আসছে না কেন্দ্রে

পরের সংবাদ

ওয়ান স্টপ সার্ভিস চান মালিকরা : রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা দেয়ার দাবি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রেস্তোরাঁ খাতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা এবং এ খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের হয়রানি থেকে রক্ষা করতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
গতকাল শনিবার রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। এ সময় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি, মহাসচিব ইমরান হাসান, প্রধান উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমিন সিআইপি, ১ম সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন মৃধা বেলু, ১ম যুগ্ম মহাসচিব মো. ফিরোজ আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব, ট্রেজারার তৌফিকুল ইসলামসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ইমরান বলেন, রেস্তোরাঁ খাত পরিচালনা করতে কমবেশি ১১টি সংস্থার অধীনে কাজ করতে হয়। এসব সংস্থায় প্রতি বছর নতুন করে লাইসেন্স বা নবায়নে ছোট ছোট উদ্যোক্তারা অনেক হয়রানির শিকার হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের ন্যায় একটি মন্ত্রণালয়/সংস্থা/ অধিদপ্তর থেকে সব অনুমতি দেয়া হোক। নবায়নের ক্ষেত্রে সব ছাড়পত্র প্রতি বছরের পরিবর্তে তিন বছর মেয়াদি করা হোক।
এদিকে হোটেল- রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা দেয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলেন, বাংলাদেশের শিল্প খাতের মধ্যে অন্যতম রেস্তোরাঁ খাত। এ খাতে প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। দেশে ৪ লাখের বেশি রেস্তোরাঁ পরিচালিত হয়ে আসছে, যেখানে ৩০ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছে। কিন্তু সরকারিভাবে রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা না দেয়ায় চরম অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে।
সমিতির নেতারা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে সারাদেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করছেন আমলারা। এক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির দাবি জানান রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা। তারা বলেন, সারা বাংলাদেশে স্ট্রিট ফুড থেকে শুরু করে যে কোনো রেস্তোরাঁ ভ্যাটের নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। পণ্যের মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট সংযুক্ত করে মূল্য নির্ধারণের নতুন আইন বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি ইএফডি মেশিন সর্বত্র দিতে হবে। এর জন্য কোনো ফি নেয়া যাবে না। রেস্তোরাঁ খাতে সম্পূরক কর বাদ দিতে হবে।
হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতের স্টাফদের দক্ষতা বাড়াতে বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এজন্য নিরাপদ খাদ্যের অধীনে সব সংস্থাকে একসঙ্গে এনে নীতিমালা তৈরি করতে হবে। সেই নীতিমালা আগে রেস্তোরাঁ মালিকদের দিতে হবে। তাদের জেলা ও থানাভিত্তিক ভাগ করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বাড়ি ভাড়ার বিয়য়েও একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করতে হবে।
ই-কমার্স প্রসঙ্গে তারা বলেন, টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির ক্ষেত্রে বর্তমান ই-কমার্স নীতিমালা অনুযায়ী ডেলিভারি কোম্পানিগুলোর শুধু ডেলিভারি চার্জ নেয়ার কথা থাকলেও তারা ইচ্ছামতো কমিশন চার্জ করছে। এজন্য সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন করে একটি সুষ্ঠু নীতিমালা করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়