মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ১২৪

আগের সংবাদ

যোগ্যরা নৌকা পাননি যে কারণে : ‘বিদ্রোহী’ তকমায় মনোনয়ন পাচ্ছেন না জনপ্রিয়রা, আর্থিক কারণেও যোগ্যদের নাম আসছে না কেন্দ্রে

পরের সংবাদ

ইউপি নির্বাচন : সহিংসতা ঠেকাতে ৫ পদক্ষেপ ইসির

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতা ঠেকাতে এবার আরো কঠোর অবস্থান নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের আগে ও পরে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন, ডিসি, এসপি, ওসি, ইউএনওদের আরো বেশি সতর্ক হওয়া, বাড়ানো হচ্ছে ম্যাজিট্রেসি টিম, বিজিবি ও র‌্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স বাড়ানোসহ প্রার্থীদের নমনীয় মনোভাব আনতে কঠোর বার্তা হিসেবে সহিংসতায় জড়ালে প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিল ও তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারের মতো পদেক্ষপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিগত দুটি ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু ও শতাধিক সংঘর্ষের ঘটনায় বিব্রত ইসি। একই সঙ্গে নির্বাচনী এলাকাভেদে চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিজ নিজ এলাকার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। গত শুক্রবার বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের এ নির্দেশনা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। এছাড়া এসপিদের কাছে নির্বাচনী কার্যক্রমে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে নতুন করে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তালিকা বাড়াতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে ও পরে প্রচার-প্রচারণা নিয়ে যাতে সহিংসতা না ঘটে সেজন্য গোয়েন্দাসহ স্ট্রাইকিং বাহিনীকে জোরদার টহল দিতে বলা হয়েছে। প্রার্থীদের নির্বাচন নিয়ে নমনীয় মনোভাব পোষণের অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিইসি। এসব দায়িত্ব ডিসির তত্ত্বাবধানে নিজ নিজ এলাকায় এসপি, ইউএনও এবং উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সম্পাদন করার নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। কারো কোনো ধরনের গাফিলতি গ্রাহ্য করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। প্রয়োজনে সহিংসতার দায়ে প্রার্থীদের সঙ্গে সহিংসতায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারেরও নির্দেশনা দিয়েছেন সিইসি।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ভোরের কাগজকে জানান, বিগত দুই ধাপ নির্বাচনে বেশ কিছু প্রাণহানি, সহিংসতার ঘটনায় উদ্বিগ্ন ইসি। সে কারণে ডিসি, এসপি, ইউএনওদের আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নিজ নিজ এলাকায় সমন্বয় করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, গত দুই ধাপে আমরা প্রতিটি উপজেলায় দুই প্লাটুন বিজিবি টহলে রাখি স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে। এবার প্রয়োজনে তা আরো বাড়ানো হবে। এছাড়া থাকবে র‌্যাবের বাহিনীও। গত দুই টার্মে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ২২ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বে ছিল। এবার কোনো কোনো উপজেলায় এ সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। তবে ডিসিরা বৈঠকে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইসি ভোটের দুই/তিন দিন আগে থেকে গতবারের চেয়ে বেশি ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রাখবে,

সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও থাকছে। গতবারে প্রতিটি উপজেলায় তিনটি করে ম্যাজিট্রেসি টিম (বিচারিক ও নির্বাহী) কাজ করেছে, এবার তা আরো বাড়ানো হচ্ছে। প্রতিটি প্রার্থী, সে চেয়ারম্যান বা মেম্বর যাই হোক না কেন, কোনোভাবেই সহিংসতায় জড়িয়ে পড়লে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং ভোট বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আর এসব বিষয় এলাকাভিত্তিক চারজন কমিশনার, ইসি সচিবসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমন্বয় করবেন।
উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের ৩৬৯টি এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ১০০৭ এবং চতুর্থ ধাপে আগামী ২৩ ডিসেম্বর ৮৪০টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৪ নভেম্বর বুধবার পঞ্চম ধাপে বাকি সবগুলো অর্থাৎ এক হাজারের বেশি ইউপির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়