যে কারণে টিকায় ব্যয়ের হিসাব দিতে নারাজ মন্ত্রী

আগের সংবাদ

কঠিন বার্তা দিল আওয়ামী লীগ : বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস নয় > শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয় > শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের জন্য অশনি সংকেত

পরের সংবাদ

ভোরের কাগজে প্রকাশ : বিনামূল্যের দেড় টন বই বিক্রির প্রমাণ মিলেছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : দেড় টনের বেশি বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। স্কুলের জন্য বরাদ্দ দেয়া গত আট বছর ধরে জমে থাকা ১ হাজার ৬০০ কেজি বিনামূল্যের পাঠ্যবই ১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। বই বিক্রির ঘটনাটি সরজমিন তদন্ত করেন কর্মকর্তারা। পরে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
গত ২৭ অক্টোবর ভোরের কাগজে এ বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ নজরে এলে তদন্তের উদ্যোগ নেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। পরে এ ঘটনায় তদন্তের জন্য উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোকতার হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। গত মঙ্গলবার বই বিক্রির তদন্তের প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরানের কাছে জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোকতার হোসেন।
তিনি বলেন, বই বিক্রির ঘটনায় সরজমিন গিয়ে তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়। পরে তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনওকে দেয়া হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইবুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বই বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেলে ঘটনা তদন্ত করতে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারকে বলা হয়। তদন্তে সরকারি বই বিক্রির ঘটনাটি সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান বলেন, প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিক্রির ঘটনার তদন্তের প্রতিবেদন পেয়েছি। তিনি আরো বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বইগুলো বিক্রি করা হয়েছে। এখন কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর তদন্ত প্রতিবেদনটি দেয়া হবে।
বই বিক্রির ঘটনা ও তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামছুল আলম জানান, সরকারি বিনামূল্যের পাঠ্যবই কোনোক্রমেই বিক্রি করা যাবে না। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান কিংবা কেউ বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন এখনো হাতে পাইনি। তবে তদন্ত প্রতিবেদনটি হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি বইগুলো না বুঝে বিক্রি করেছি। এমন ঘটনা আর হবে না।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর রাতের আঁধারে প্রধান শিক্ষক তার প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত রাখা মাধ্যমিক স্তরের ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সালের সরকারি বই ১ হাজার ৬০০ কেজি ১৩ টাকা দরে চরশৌলমারী বাজারের আবুল কাসেম সিকদার নামের ব্যবসায়ীর কাছে অবৈধভাবে বিক্রি করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়