যে কারণে টিকায় ব্যয়ের হিসাব দিতে নারাজ মন্ত্রী

আগের সংবাদ

কঠিন বার্তা দিল আওয়ামী লীগ : বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস নয় > শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয় > শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের জন্য অশনি সংকেত

পরের সংবাদ

ভালো দাম পাওয়ায় পানিফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাজ্জাদুল তুহিন, মান্দা (নওগাঁ) থেকে : নওগাঁয় বর্তমানে ধানের পাশাপাশি বিভিন্ন ফল চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। তেমনই একটি ফল হচ্ছে পানিফল। কৃষিপ্রধান এই জেলায় সারা বছরই কিছু কিছু জমি ও বিলে হাঁটুসমান পানি থাকে। ফলে শীতকাল এলেই পানিফল চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন চাষিরা। কম খরচ, পরিশ্রম আর স্বল্প সময়ে অধিক ফলন হওয়ায় এই ফল চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে নওগাঁর চাষিদের।
সরজমিনে জেলার সদর উপজেলার খাগড়া বিল, দুর্গাপুর বিল এবং মরা বিলে দেখা যায়, আষাঢ় মাসের বৃষ্টিতে যখন জলাশয়গুলোতে পানি জমতে শুরু করে তখন পানিফলের চারা ছেড়ে দেয়া হয়। এর তিন মাস পর (ভাদ্র মাস থেকে) গাছে ফল আসা শুরু করে। গত বছর পানি ফলের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর আরো বেশি জমিতে পানিফল চাষ করছেন চাষিরা।
পানিফল তুলছেন শ্রমিক মোহাম্মদ আলী, মোবারক এবং একরামুল হোসেন। তারা বলেন, আমরা এখানে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হাজিরা হিসেবে কাজ করি (চুক্তিভিত্তিক দিনমজুর)। প্রতিদিন সকালের নাস্তাসহ ৩৫০ টাকা করে মজুরি দেয়া হয়। গাছ থেকে ফল তুলে নিয়ে সেগুলো পরিষ্কার করে গাড়িতে তুলে দিতে হয়। এই ফলগুলো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়।
সদর উপজেলার চকমুক্তার গ্রামের পানিফল চাষি আজিজুল বলেন, ১৬ বিঘা জমি এক বছরের জন্য ইজারা (লিজ) নিয়েছি। ইজারাসহ পানিফল চাষ করতে প্রায় ২ লাখ ১২ হাজার খরচ হয়েছে। এখন বাজারে পানিফল তেমন একটা বিক্রি হচ্ছে না। প্রতিদিন এই ফল উঠানোর জন্য ১০ জন শ্রমিক প্রয়োজন পড়ে। বাজারে যে ফলের দাম শ্রমিককে মজুরি দিতে আমার সব শেষ। তবে প্রথমদিকে ভালো দাম পেয়েছি। এখন বাজারে ফলের দাম নেই। নওগাঁ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শামছুল ওয়াদুদ বলেন, জেলায় এ বছর ৬০ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষ হয়েছে। পানিফল একটা জনপ্রিয় ফল। কারণ এই ফলটা অসময়ে হয়। এই সময় নিচু জমিতে ধানের আবাদ বা অন্য কোনো ফসল হয় না। পানি জমে থাকে সেক্ষেত্রে এটা একটি উপকারী ফল।
গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা বেশি চাষ হয়েছে। এ বছর ভালো ফলন এবং উৎপাদন হয়েছে। এই ফল খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হওয়ায় মানুষ বেশ আগ্রহী। প্রতি কেজি পানিফলের দাম বর্তমানে ১৫-২০ টাকা। এতে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে বেকারত্ব দূর হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়