যে কারণে টিকায় ব্যয়ের হিসাব দিতে নারাজ মন্ত্রী

আগের সংবাদ

কঠিন বার্তা দিল আওয়ামী লীগ : বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস নয় > শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয় > শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের জন্য অশনি সংকেত

পরের সংবাদ

দলের জন্য ত্যাগের মূল্যায়ন পেলেন মায়া-কামরুল-লিটন : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীতে তিন নেতা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝর্ণা মনি : ত্যাগের রাজনীতির সম্মান পেলেন তারা। জাতীয় সম্মেলনের প্রায় দুই বছর পর দলে পদোন্নতি পেলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও কামরুল ইসলাম। কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে সরাসরি দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে পদোন্নতি পেয়েছেন তারা। অন্যদিকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের মতো গুরুদায়িত্ব পেলেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। অতীতে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত দিনে দলের প্রতি আত্মত্যাগ, কঠিন দুঃসময়ে দলের ঐক্য ধরে রাখা, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দমনে সাফল্য, উন্নয়নে অগ্রযাত্রায় অবদানকে পুরস্কৃত করেছেন দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা। দলের একাধিক শীর্ষ নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। ওইদিন ঘোষিত কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন ১৭ জন। তারা হলেন- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্লাহ, সাহারা খাতুন, মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবদুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, আবদুল মান্নান, আবদুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, আব্দুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক। ২০২০ সালের ১৩ জুন মারা যান দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। ওই বছরের ১০ জুলাই মারা যান দলটির সভাপতিমণ্ডলীর অন্য সদস্য এডভোকেট সাহারা খাতুন। চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। এতে শূন্য হয় সভাপতিমণ্ডলীর তিনটি পদ।
এদিকে ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। কমিটিতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া দুই নম্বর সদস্য এবং কামরুল ইসলামকে তিন নম্বর সদস্য করা হয়। গতকাল শুক্রবার সভাপতিমণ্ডলীর তিনটি শূন্য পদে দায়িত্ব পেলেন মায়া-কামরুল-লিটন।
ত্যাগের রাজনীতির পুরস্কার সভাপতিমণ্ডলীর পদ : ত্যাগী নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া

একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৬৫ সালে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে চাঁদপুর-২ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন, ১৯৯৮-০১ সাল পর্যন্ত তিনি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৪ সালে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী মায়া দীর্ঘদিন ছিলেন অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র অধিপতি। দুই মহানগরের একক কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী অবিভক্ত ঢাকার আওয়ামী লীগ রাজনীতির ভিতকে শক্তিশালী করেছেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি ছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয়। এখনো দুই মহানগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তার অনুসারীরাই রাজত্ব করছেন।
এদিকে সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ছিলেন অবিভক্ত ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঢাকা-২ আসনের সাংসদ। কামরুল ইসলাম ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ সাল থেকে ৬ জানুয়ারি ২০১৯ সাল পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এডভোকেট কামরুল ইসলাম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মহানগরীতে জনপ্রিয় ছিলেন। সাংসদ হিসেবেও এলাকায় তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের কঠিন সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে আইনজীবী হিসেবে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।
অন্যদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি তৈরি করেছেন। এক সময় জঙ্গি বাংলাভাইসহ জঙ্গিবাদের আস্তানা ছিল রাজশাহী। সেই জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত করে পরপর দুবার রাজশাহীর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে উন্নয়নের মাধ্যমে রাজশাহীর চেহারা পাল্টে দিয়েছেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম নেতা শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামান হেনার উত্তরসূরি খায়রুজ্জামান লিটন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়