যে কারণে টিকায় ব্যয়ের হিসাব দিতে নারাজ মন্ত্রী

আগের সংবাদ

কঠিন বার্তা দিল আওয়ামী লীগ : বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস নয় > শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয় > শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের জন্য অশনি সংকেত

পরের সংবাদ

চেয়ারম্যান হতে ২ ভাইয়ের যুদ্ধ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : নন্দীগ্রামে চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন দুই ভাই। উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক পাওয়ার জন্য দুই ভাই দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, নৌকা প্রতীক পেয়ে আগের বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদুল বারী। এবারও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। ছোট ভাই মজনুর রহমান মজনু ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনিও নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছেন।
একই পদে একই পরিবারের দুজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছেন আরো দুইজন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা তীর্থ সলিল রুদ্র ও আবদুল্লাহেল বাকি।
ইউনিয়ন ঘুরে ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক কোন্দল চলছে। ফলে কেউই কাউকে ছাড় দেবে না। একই পরিবার থেকে দুই ভাই প্রতিদ্ব›িদ্বতা করায় বিপাকে পড়েছেন পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া-প্রতিবেশী। এদিকে ভাই-ভাইয়ের লড়াই ভোটারদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। দুই ভাইয়ের কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা-সমালোচনার কমতি নেই ভোটারদের মধ্যে। শুধু দলীয় বিবেচনায় নয়, ব্যক্তি পরিচয়ে প্রার্থীই ভোট পাবেন বলে তারা জানান।
বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদুল বারী বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। এবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় প্রতীক দেবেন। বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে আমি এলাকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। সুখে-দুঃখে এলাকাবাসী সবসময় আমাকে কাছে পেয়েছে। আমার বিশ্বাস, গতবারের মতো এ বছরও আমি জয়লাভ করব।
এ ব্যাপারে ছোট ভাই মজনুর রহমান মজনু বলেন, আমরা একই পরিবারের। আমার বাবা মরহুম জালাল উদ্দিন মণ্ডলও চেয়ারম্যান ছিলেন। তার মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন ধরে বড় ভাই চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
এ সময় তিনি বিভিন্ন দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। এতে বাবার ঐতিহ্য নষ্ট করে ফেলে। যার কারণে আমি চেয়ারম্যান পদে ভোট করছি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২৯ নভেম্বর, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর, আপিলের নিষ্পত্তি ৩-৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৬ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর এবং ২৩ ডিসেম্বর ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়