যে কারণে টিকায় ব্যয়ের হিসাব দিতে নারাজ মন্ত্রী

আগের সংবাদ

কঠিন বার্তা দিল আওয়ামী লীগ : বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস নয় > শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয় > শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের জন্য অশনি সংকেত

পরের সংবাদ

এ হয়রানির শেষ কোথায়?

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গণপরিবহনে নৈরাজ্য নিয়ে লেখালেখি কম হয়নি। এখনো হচ্ছে। কোনো পরিবর্তন হয়েছে। হয়নি। বরং ক্ষেত্রবিশেষে বেড়েছে। জ্বালানি তেল ও ডিজেলের দাম বাড়ায় নতুন করে গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছে। আর এই বর্ধিত ভাড়া নিয়ে রাজধানীতে এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। বাসচালক ও হেলপার ইচ্ছামতো বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে অনেক বাসে আগের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে। শুধু তাই নয়, যেসব বাস সিএনজি গ্যাসে চালিত, সেগুলোও যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। আর বেশি ভাড়া নিয়ে বাসে বাসে হেলপারের সঙ্গে যাত্রীদের বাগবিতণ্ডা হচ্ছে। যাত্রীরা বুঝতে পারছেন না কোন বাস ডিজেলে আর কোনটি সিএনজিতে চলছে। অবশ্য সিএনজি ও ডিজেলচালিত বাসের শনাক্তকরণ চিহ্ন হিসেবে স্টিকার লাগানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা সবাই মানছে না। এমতাবস্থায় গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি, ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় ও নৈরাজ্য চরমে পৌঁছেছে। সড়ক পরিবহন নতুন আইন থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। পৃথিবীর সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশে সড়কে নৈরাজ্য, হয়রানি এবং ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। জীবনের অধিকার সবচেয়ে বড় অধিকার। এ অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাস-মিনিবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া তিন দফায় বৃদ্ধি করেছে সরকার। প্রতিবারই পরিবহন মালিকরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার হার মেনে চলার অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু বাস্তবে সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভাড়াই আদায় করা হয়েছে। ঢাকা শহরের প্রায় ২ কোটি মানুষের ৮০ ভাগই নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণিভুক্ত। এরা গণপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল। করোনাকালীন এই দুঃসময়ে সাধারণ মানুষের এই নির্ভরশীলতাকে পুঁজি করে পরিবহন মালিকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন। এতে সকালবেলা ঘর থেকে বেরিয়ে অফিসমুখী বাস ধরতে গিয়ে প্রতিদিনই অনাকাক্সিক্ষত বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন কর্মজীবী মানুষ। পরিবহন খাতে এই নৈরাজ্য দিনের পর দিন চলতে পারে না। মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। কোথাও যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজারও দেয়া হয় না। এ অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গণপরিবহন চলাচলে বিধিনিষেধসহ বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। করোনা দুর্যোগের কারণে এ সময়ে গণপরিবহনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ স্বাস্থ্য সতর্কতা অবলম্বন। গণপরিবহনগুলোতে গাদাগাদি করে যাত্রী নেয়ার নিয়ম না থাকলেও তা কমই কার্যকর হতে দেখা যায়। অন্তত এ সময়ের জন্য হলেও নির্দিষ্ট আসনের অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার প্রবণতা বন্ধ করতেই হবে। সংঘবদ্ধ এই চক্রকে প্রতিহত করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। যাত্রীসাধারণের বৃহত্তর স্বার্থেই অবিলম্বে এই অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করা উচিত বলে আমরা মনে করি। কেবল সরকারের সতর্কতাই যথেষ্ট নয়, বরং আমরা মনে করি, বাস মালিক সমিতিসহ চালক ও যাত্রী সবারই সচেতন হওয়া জরুরি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়