যে কারণে টিকায় ব্যয়ের হিসাব দিতে নারাজ মন্ত্রী

আগের সংবাদ

কঠিন বার্তা দিল আওয়ামী লীগ : বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস নয় > শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয় > শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের জন্য অশনি সংকেত

পরের সংবাদ

আগাম শিম চাষে লাভবান মেহেরপুরের কৃষক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মর্তুজা ফারুক রূপক, মেহেরপুর থেকে : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চালের সবজির ভাণ্ডার খ্যাত মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ছে আগাম শিম চাষ। শিম মূলত শীতকালীন সবজি। তবে বেশি মুনাফা হওয়ায় আগাম শিম চাষের প্রতি ঝুঁকছেন মেহেরপুরের কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মেহেরপুর জেলায় এবার প্রায় ৫৫৭ হেক্টর জমিতে আগাম শিম চাষ হয়েছে। জেলার সদর উপজেলার আমঝুপি, পিরোজপুর, কাঁঠালপোতা ও সোনাপুর, মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান, শিবপুর, মোনাখালী, আনন্দবাস কোমরপুর ও মহাজনপুর এবং গাংনী উপজেলার ধলা, হাড়াভাঙা ও সাহারবাটিসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে চাষ হচ্ছে শিম।
চলতি মৌসুমে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে পাইকারি ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাঁশ ও তারের সাহায্যে বান (মাচান) তৈরি করে চাষ করা শিম। সার-পানি ও কীটনাশক বাবদ প্রতি বিঘা শিম চাষে খরচ ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। এবার বিক্রি হচ্ছে বিঘাপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। জানতে চাইলে সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের শিম চাষি সিদ্দিক হোসন ও ওয়াসিম আলী জানান, এ বছর আমরা দুই বিঘা জমিতে শিমের চাষ করেছি। বাজারে শিমের চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছি।
গাংনী উপজেলার দিগলকান্দি গ্রামের চাষি আকবর আলী বলেন, এ বছর আমার এক বিঘা জমিতে অটো জাতের আগাম শিম চাষ করেছি। এক বিঘা জমিতে চাষ করতে ২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এরই মধ্যে আমি ৯৩ টাকা কেজি দরে প্রথম চালানে ২০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছি। বর্তমানে বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করছি। আশা করছি এখনো ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করব।
একই গ্রামের ওসমান আলী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টির পাশাপাশি ছিল গরম আবহাওয়া। শিম গাছে ফুল ধরলেও তা ঝরে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পচন রোগের কারণে পচে যাচ্ছে ফুল ও ফল। পাতায় পোকা লাগা ও পাতামরা রোগ দেখা দিয়েছে শিম বাগানে। এসব দূর করতে অনেক ধরনের ছত্রাকনাশক প্রয়োগ হচ্ছে। বাড়তি যতœ করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরো বেশি লাভবান হওয়া যেত।
এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দীন ভোরের কাগজকে জানান, জেলায় সাধারণত স্থানীয় জাত রহিম রূপবান, হাইব্রিড জাতীয় বারী শিম-৩, ইর্ষা-১ ও অটো জাতের শিমের চাষ করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউপির মহিষাখোলা, দিগলকান্দি, আড়পাড়ার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা শিমের চাষ করে থাকেন। আগাম শিম চাষে চাষিদের যথাযথ পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, আবহাওয়ার কারণে কিছু গাছে রোগ দেখা দিচ্ছে। আমরা ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছি। আশা করি আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে এসব থাকবে না। আমরা রঙিন শিম চাষের দিকেও কৃষকদের আহ্বান জানাচ্ছি। গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে বেশি শিম চাষ হয়েছে। অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে আরো বৃদ্ধি পাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়