যে কারণে টিকায় ব্যয়ের হিসাব দিতে নারাজ মন্ত্রী

আগের সংবাদ

কঠিন বার্তা দিল আওয়ামী লীগ : বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস নয় > শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয় > শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের জন্য অশনি সংকেত

পরের সংবাদ

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম : পুঁজিবাজার নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করুন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেছেন, আমাদের একটি প্ল্যাটফর্ম লাগবে। এখানে যেসব সাংবাদিক আছেন, তাদের বস্তুনিষ্ঠ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমেই আমরা সঠিক তথ্যের যেন নিশ্চয়তা পাই। সে প্ল্যাটফর্মটি যেন এটি হয়। এখানে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবেন, যেন আমরা আসল নিউজটি পাই। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। তিনি মনে করেন, এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হলে সঠিক তথ্য পেলে বিনিয়োগকারীরা আর গোপন তথ্যের পেছনে ছুটে ক্ষতির মুখে পড়বেন না।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে পুঁজিবাজারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) নিজস্ব অফিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পুরানা পল্টনে আল রাজী কমপ্লেক্সে এই অফিস করা হয়েছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবেন, যেন আমরা আসল নিউজটা পাই। তথ্যের অবাধ প্রভাব নিশ্চিত করতে হবে। পুঁজিবাজারে তথা মার্কেটে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে। ‘আমাদের একটি প্ল্যাটফর্ম লাগবে। এখানে যেসব সাংবাদিক আছেন, তাদের বস্তুনিষ্ঠ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমেই আমরা সঠিক তথ্যের যেন নিশ্চয়তা পাই। সে প্ল্যাটফর্মটি যেন এটি হয়। এখানে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবেন, যেন আমরা আসল নিউজটি পাই। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন যেন কাউকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্য না হয়, সেদিকেও গুরুত্বারোপ করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো নিউজে যেন এমন কিছু না আসে যেটি আমাদের নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্যকে ?সুবিধা দেয়ার জন্য হয়। একজনকে সুবিধা দেয়ার জন্য অন্যজনকে ক্ষতি করলাম, এ জিনিসটা যেন না হয়। এ বিষয়টিকেও আপনাদের বিবেচনা করতে হবে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিএসইসির সিদ্ধান্ত গ্রহণেও জরুরি বলে মনে করেন চেয়ারম্যান। বলেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুল করে, আমাদের অনেক কিছুই নলেজে আসে না, আমরা জানতেও পারি না। অফিসে আমাদের এতটাই সময় দিতে হয়, বাইরের অনেক কিছুই আমরা জানি না। এ তথ্যগুলো আমরা আপনাদের কাছ থেকে চাই। শেয়ার দর বাড়লেই এ নিয়ে হইচই চান না বিএসইসি চেয়ারম্যান। বলেন, ‘আমাদের পুঁজিবাজারে ১৯ থেকে ২০ শতাংশ ইক্যুইটি বাড়বেই। তখন কত লোক বলে ফেলল আমরা নাকি অনেক বড় হয়ে গেছি। বাজার ওভারভ্যালুড। আরো অনেক রকম কথা। এসব জিনিসকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। আমরা একা পারব না। আপনাদের সবাইকে আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদন বলেন, ‘পুঁজিবাজারে দেশীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগও আনতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বিএসইসিও কাজ করছে। এ কাজে আপনাদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন। পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘দেশে অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে, যারা এখনো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। দেশে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছে কিন্তু পুঁজিবাজারে আসতে চায় না। তাদের পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে সেসব কোম্পানিকে নিয়ে আসতে কর সুবিধা দিতে হবে। তাতে সরকারের লোকসান নেই। বরং সরকার অন্য কোনো না কোনো পন্থা থেকে তার চেয়ে বেশি লাভবান হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে পুঁজিবাজারবিষয়ক রিপোর্টারদের সংগঠন সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল বলেন, ‘নিজস্ব অফিস বাস্তবায়নের জন্য যারাই আমাদের সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তবে এই কৃতজ্ঞতার মানে কেউ অন্যায় করলে তাকে ছাড় দেয়া নয়। বরং সাংবাদিক হিসেবে আমাদের কাজই সঠিক তথ্যটি উপস্থাপন করা। সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা থেকে সরে আসার সুযোগ নেই। বর্তমান কমিশন সেটিই চাই, যেন সঠিক তথ্যটি পাঠকের কাছে পৌঁছে। অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব কটি স্টেকহোল্ডারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসির বর্তমান কমিশনারসহ সাবেক চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন বর্তমান কমিশনার মিজানুর রহমানও। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসন। সিএমজেএফের কার্যনির্বাহী সদস্যসহ প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ সাবেক সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মিন্টুও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়