মানিলন্ডারিং মামলা : হাইকোর্টে জামিন পাননি এসপিসি ওয়ার্ল্ডের শারমিন

আগের সংবাদ

জাহাঙ্গীর আজীবন বহিষ্কার : আ.লীগের সভায় সিদ্ধান্ত, মেয়র পদ হারাতে পারেন জাহাঙ্গীর > খালেদার টার্গেট আমি : প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল পাস : মিথ্যা তথ্যে বিএইচবিএফসির ঋণ নিলে ৫ বছরের জেল

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) থেকে ঋণ নেয়ার সাজা বাড়িয়ে ‘বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।
বর্তমান আইনে বলা আছে, করপোরেশনের কাছ থেকে কেউ যদি ঋণ গ্রহণে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বিবরণী দেন বা জেনেশুনে মিথ্যা বিবরণী ব্যবহার করেন বা করপোরেশনে যে কোনো ধরনের জামানত গ্রহণে প্রবৃত্ত করেন, তাহলে দুই বছর কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলে সেটাকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনে অনুমোদিত মূলধন ১১০ কোটি আর পরিশোধিত মূলধন ছিল ১১০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত আইনে ১ হাজার কোটি টাকা হচ্ছে অনুমোদিত মূলধন, আর ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের বিধান রাখা হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, করপোরেশনের কার্যপরিধি বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি, পরিচালনা পর্ষদের গঠন সুনির্দিষ্টকরণ, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করাসহ ঋণ গ্রহণ, অপরাধের শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো, অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা, ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ ও অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগের বিধান সংযোজনসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংগতি রেখে বিদ্যামান আইন সংশোধনের লক্ষ্যে বিলটি আনা হয়েছে।
দরিদ্র বেড়েছে ৩ কোটি ২৪ লাখ, কোটিপতি ১৬ শতাংশ : জাপার আরেক সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, দেশে করোনাকালে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ৩ কোটি ২৪ লাখ। অপরদিকে এই সময়ে দেশে কোটিপতির সংখ্যা ১৬ শতাংশ বেড়েছে। ফলে দেশে দিনে দিনে বৈষম্য বাড়ছে। করোনাকালে সেটা আরো প্রকট হয়েছে। ফলে কিছু শ্রেণির মানুষের কাছে অর্থ চলে গেছে। সেজন্য জনগণের জন্য সমান সুযোগ বা বৈষম্য কমানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে যারা শত শত কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ইচ্ছে করে খেলাপি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অর্থমন্ত্রী কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন? ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে ছোট ছোট ঋণগ্রহীতাদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার দাবি জানান তিনি।
বিলটির জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব ওঠানোর সময় জাপার শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, যেসব কর্মকর্তা মিথ্যা তথ্য দেখেও ঋণ দেন তাদের শাস্তির বিধান রাখতে হবে। তিনি শহরে এলাকার সঙ্গে গ্রামেও গৃহঋণ দেয়ার দাবি জানান।
বিলটির ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ অভিযোগ করেন, কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তাকে সঠিক সময়ে অভিহিত করা ও বিলের কপি সরবরাহ করা হয়নি। দরিদ্রদের জন্য ঘর তৈরি করে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু এখানে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, লুটপাট হয়েছে বলে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসেছে। সেজন্য যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, করোনার সময় দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়লেও বর্তমানে কমেছে রেমিটেন্স প্রবাহ। কিন্তু তখন বেড়ে গেল আবার করোনার পরে কেন কমে গেল তার কারণ অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, দেশের আর্থিক খাতের অবস্থা কিন্তু খুবই খারাপ। কিন্তু অর্থমন্ত্রী সেদিকটা তেমন নজর দিচ্ছেন না। আমাদের প্রশ্নের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী কিছুটা এড়িয়ে যাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়