মানিলন্ডারিং মামলা : হাইকোর্টে জামিন পাননি এসপিসি ওয়ার্ল্ডের শারমিন

আগের সংবাদ

জাহাঙ্গীর আজীবন বহিষ্কার : আ.লীগের সভায় সিদ্ধান্ত, মেয়র পদ হারাতে পারেন জাহাঙ্গীর > খালেদার টার্গেট আমি : প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

স্কুল শিক্ষিকা লতিফা হেলেন হত্যা : দোষীদের গ্রেপ্তার দাবিতে গুরুদাসপুরে মানববন্ধন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : ‘আমার বোন কবরে, আসামি কেন বাহিরে’ সেøাগানে স্কুুল শিক্ষক লতিফা হেলেন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা। বাইজিদ ইসলাম সোহাগকে তদন্তে যুক্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে গুরুদাসপুর শহীদ মিনার চত্বরে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষকদের আয়োজিত এই মানববন্ধনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার শত শত মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে গুরুদাসপুর শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মো. এমদাদুল হক অভিযোগ করে বলেন, ২ বছর অতিবাহিত হলেও এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হয়নি। মামলাটি বর্তমানে পিবিআইয়ের কাছে তদন্তাধীন। তবে মূল সন্দেহভাজন বাইজিদ ইসলাম সোহাগ (৩৫) উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার আত্মীয় হওয়ায় তাকে সেই তদন্তেরও বাইরে রাখা হয়েছে। আমরা পলাতক আসামি আহসান ও মূল সন্দেহভাজন বাইজিদ ইসলাম সোহাগকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে নিহতের মা মামলার বাদী মনোয়া বেগম অভিযোগ করেন, ঘরে স্ত্রী ও প্রেমিকা থাকা সত্ত্বেও লতিফাকে বিয়ে করার জন্য উন্মাদ ছিল সোহাগ। এজন্য পৃথক বাড়ি এবং আগের মেয়েকেও মেনে নেয়ার প্রলোভনও দেখানো হয় লতিফাকে। কিন্তু লতিফা রাজি ছিলেন না। এ কারণে প্রায়শই উদ্ভট সব কাণ্ড ঘটনাতেন সোহাগ। বিভিন্ন অজুহাতে সন্দেহভাজন সোহাগ, মমিনুল, হামজা ও আহসান লতিফার বাড়ির সামনে আড্ডা দিতেন এবং লতিফাকে কটূক্তিও করতেন। এছাড়া বিয়ে ভেঙে দেয়া এবং টয়লেট-গোসলখানায় উঁকিও দিতেন সোহাগ। অথচ সোহাগকে তদন্তের বাইরে রাখা হয়েছে। তারা মূল সন্দেহভাজন সোহাগকে তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান।
অভিযুক্ত বাইজিদ ইসলাম সোহাগ গুরুদাসপুর উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের খেজের আলীর ছেলে। তিনি নাজিরপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অফিস সহকারী পদে চাকরি করছেন। একই গ্রামের মৃত নজিমউদ্দিনের মেয়ে লতিফা। তিনি বৃ-কাশো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। মামলায় অভিযুক্ত মমিনুল, আহসান হামজা ও সোহাগ ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
মানববন্ধনে সহকারী শিক্ষক মাসুদুর রহমান, নুসরাত জাহান রিতা ও আবুল বাশার বলেন, এ মামলায় নিহত লতিফার আগের স্বামী মমিনুল ও তার বন্ধু হামজা জামিনে আছেন। তবে আহসান এখনো পলাতক। মামলার শুরুর দিকে সন্দেহভাজন বাইজিদ ইসলাম সোহাগের নাম এলেও উচ্চ তদবিরে তা চাপা পড়ে। পলাতক আহসান ও সোহাগকে গ্রেপ্তার করে সব আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজন সোহাগের বিষয়ে পুনরায় তদন্ত করতে পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নাটোর পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন জানান, মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে নতুন আসামির ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করা হবে।
২০১৯ সালের ২৩ জুলাই রাতে লতিফার শয়নকক্ষের বারান্দায় ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পাশের পুকুর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় লতিফার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অভিযুক্ত সোহাগের টর্চ লাইট এবং মমিনুলের ব্যবহৃত গামছা পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়