মানিলন্ডারিং মামলা : হাইকোর্টে জামিন পাননি এসপিসি ওয়ার্ল্ডের শারমিন

আগের সংবাদ

জাহাঙ্গীর আজীবন বহিষ্কার : আ.লীগের সভায় সিদ্ধান্ত, মেয়র পদ হারাতে পারেন জাহাঙ্গীর > খালেদার টার্গেট আমি : প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে দুদুকে বর্তমান মেয়রের অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন পৌরসভার বর্তমান মেয়র আব্দুর রাজ্জাক। গত ১১ নভেম্বর মেয়র আব্দুর রাজ্জাকের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন, রাজশাহীর উপপরিচালক বরাবর দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। অভিযোগের সেই কপি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরও সরবরাহ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এডিপি ও বিশেষ বরাদ্দের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়া, সিএনজি, টেম্পো ও ট্যাক্সিস্ট্যান্ড এবং হাটবাজার ইজারার অনাদায়ী টাকাসহ পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দের ব্যয়ের আয়কর ও ভ্যাটের সমুদয় চালানের কপি না পাওয়াসহ বিপুল পরিমাণ আয়কর ও ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বর্তমান মেয়র।
মেয়র আব্দুর রাজ্জাক দুদকে দাখিলকৃত তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ২০০৬ সালের ৪ মে থেকে ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আক্কাছ আলী। তার দায়িত্বকালে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি হয়েছে। যার মধ্যে পৌরসভার বিভিন্ন কাজের আয়কর ও ভ্যাটের ১০০ খানা চেক সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান না করে সরকারের ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬৪৬ টাকা ক্ষতি করেছে। ২০১৩-২০১৪ সাল থেকে ২০১৬-২০১৭ সাল পর্যন্ত এডিবি ও বিশেষ বরাদ্দের চেক রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে ব্যয়িত সর্ব মোট ৫ কোটি, ১২ লাখ ৪০ হাজার ২০৯ টাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। ২০০৬-২০০৭ সাল থেকে ২০১২-২০১৩ পর্যন্ত সময়ের এডিপি এবং বিশেষ বরাদ্দের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। বাংলা ১৪২৩ সনের সিএনজি, টেম্পো ও ট্যাক্সিস্ট্যান্ড ইজারার ১০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা এবং অন্যান্য হাটবাজার ইজারার ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা অনাদায়ী রয়েছে। পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যয়ের আয়কর ও ভ্যাটের সমদয় চালানের কপি নাই। বিগত ২০০৬ সারের মে মাস হতে ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ আয়কর ও ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করেননি।
দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় ৪ বছর পর এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মানবিক কারণে বিষয়গুলো সেই সময় খতিয়ে দেখেননি। আমি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করিনি, তারপরেও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে সাবেক মেয়র অক্কাছ আলী বলেন, রাজস্ব ফাঁকির ঘটনায় আমি জড়িত নই। সেইসব টাকা জমা দেয়ার দায়িত্ব প্রধান হিসাব রক্ষকের। সে কি করেছে তা আমার জানা নেই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে কোনো টাকা বকেয়া থাকলে পরবর্তী মেয়র সেই টাকা আদায় করতে পারেন। এছাড়া নির্বাচিত হওয়ার পর মামলার কারণে আমি দুইবার হাজতে ছিলাম। সে সময় ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন প্যানেল মেয়র। আমার দায়িত্ব পালনকালে একাধিকবার অডিট হয়েছে। কিন্তু কোনো অনিয়ম ধরা পড়েনি। পৌরসভার নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। তাই আমার জনপ্রিয়তা হ্রাস করার ষড়যন্ত্রে অহেতুক অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেলে বিধান মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে, তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। পৌরসভার প্রধান হিসাব রক্ষক হাসান আলী বলেন, আমি হুকুমের গোলাম। মেয়র যা বলেন আমাকে তাই করতে হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়