মানিলন্ডারিং মামলা : হাইকোর্টে জামিন পাননি এসপিসি ওয়ার্ল্ডের শারমিন

আগের সংবাদ

জাহাঙ্গীর আজীবন বহিষ্কার : আ.লীগের সভায় সিদ্ধান্ত, মেয়র পদ হারাতে পারেন জাহাঙ্গীর > খালেদার টার্গেট আমি : প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

লাভজনক ফসল মেটে আলু

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া (খুলনা) থেকে : বদলে গেছে সময়, পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে সব কিছুতে। থেমে নেই খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চাষিরা। তারাও পরিবর্তন এনেছেন চাষ পদ্ধতিতে। উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে মেটে আলুর। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় দামও ভালো, তাই প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে মেটে আলুর চাষ। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক। কখনো কৃষি অফিসের সহযোগিতা নিয়ে আবার কখনো নিজেদের উদ্যোগেই চাষে পরিবর্তন এনে কৃষকরা হচ্ছেন স্বাবলম্বী।
উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ব্যতীত সকল ইউনিয়নের মাঠের জমি সব ধরনের সবজি চাষে অত্যন্ত উপযোগী। এমন এক সময় ছিল এ জনপদের চাষিরা ধান পাট আর বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সবজি চাষ করে বছর পার করেছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে ধান পাটের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে নানা ধরনের সবজি চাষে কৃষক ঝুঁকে পড়েছেন। বাজারে প্রতিটি সবজির দাম বেশ ভালো থাকায় কৃষক লাভবান হচ্ছেন। এমনই একটি সবজি হচ্ছে মেটে আলু।
বপনের পর মাটির নিচে আপন মনেই বাড়তে থাকে এই আলু, তাই মেটে আলু বলেই এর পরিচিতি সর্বত্র। এক সময় ঘরের কোণে বা পতিত জমিতে বিচ্ছিন্নভাবে বপন করা হতো এই আলু। তবে এখন বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে ২০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের মেটে আলুর চাষ করেছেন। সরজমিন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাচায় উঠিয়ে দেয়া মেটে আলু লতা যেন সাপের মতো আঁকা বাকা হয়ে এক মাচা থেকে অন্য মাচায় তার প্রভাব বিস্তার করছে। মাঠের পর মাঠ অন্য সব ফসলে সবুজের সমারোহ তার মাঝে মেটে আলুর পানের মতো পাতা যেন অন্য এক সৌন্দর্য্য বহন করে যাচ্ছে। অধিকাংশ জমিতে কৃষক আলু গাছ পরিচর্যায় বেশ ব্যস্ত। চাষিরা জানান, বৈশাখ মাসে আলু বীজ বপন করা হয়। প্রায় ৬ মাস মাটির নিচে আপন মনেই বেড়ে উঠতে থাকে। একটি আলু গাছ হতে ৩ কেজি হতে ১০ কেজি পর্যন্ত আলু সংগ্রহ করা যায়। বাজার দর ভালো হলে ৪৫ হতে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা যায়।
কৃষকরা বলেন, স্থানীয় গাড়ল লতা, লাল চমরি আলুসহ বেশ কিছু জাতের আলু চাষ হয়। এর মধ্যে লাল আলতাবাদ আলু খেতে বেশি সুস্বাধু তাই বাজার দর অন্য আলুর থেকে কিছুটা বেশি পাওয়া যায়।
মেটে আলু চাষে কোনো ধরনের সার বা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। বেগুন, উচ্চে বা পটোলের চাষ শেষ হওয়ার আগেই ওই জমিতে মেটে আলু বপন করা হয়। জমিতে যে পরিমাণ সার প্রয়োগ করা থাকে তাতেই আলু চাষ সম্পন্ন হয়ে যায়। যার ফলে ব্যয় একেবারেই কম বলে কৃষকরা জানান।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন ভোরের কাগজকে জানান, এ জনপদের কৃষকরা কৃষিতে আমূল পরিবর্তন এনেছেন। নতুন নতুন ফসল উৎপাদন করে তারা লাভবান হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের সব বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়