মানিলন্ডারিং মামলা : হাইকোর্টে জামিন পাননি এসপিসি ওয়ার্ল্ডের শারমিন

আগের সংবাদ

জাহাঙ্গীর আজীবন বহিষ্কার : আ.লীগের সভায় সিদ্ধান্ত, মেয়র পদ হারাতে পারেন জাহাঙ্গীর > খালেদার টার্গেট আমি : প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

রৌমারীর স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু : দীর্ঘ ৮ মাস পর স্বস্তিতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাসুদ পারভেজ, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে : সাম্প্রতিক মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের দেয়া লকডাউনের মধ্য দিয়ে এবং দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান রেখেছে বর্তমান সরকার। অপরদিকে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে লকডাউন ও চলাফেরা বিধিনিষেধ থাকায় ও নিজেদের অন্তর্দন্দের কারণে মাঝেমধ্যে আমদানি-রপ্তানি হলেও মার্চ থেকে প্রায় ৮ মাস একটানা ভারত থেকে রৌমারীর নতুনবন্দর স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
অপরদিকে আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন পাথর ভাঙা হাজার হাজার শ্রমিক ও ড্রাইভার হেলপার। গতকাল বৃহস্পতিবার সরজমিন গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
জানা গেছে, ভারতের কিছু অন্তর্দন্দের কারণে চুন থেকে পান খসলে তারা পাথর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এই স্থলবন্দর দিয়েই পাথর রপ্তানি হয় বেশি। দীর্ঘ একটানা ৮ মাস আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছিলেন ব্যবসায়ী ও হাজার খানিক শ্রমিকরা। দীর্ঘদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় একদিকে বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হয়েছে অন্যদিকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। তবে উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্নভাবে ধরপাকড়ের মাধ্যমে স্থলবন্দরটির আমদানি-রপ্তানি দুই দেশের মধ্যকার আলোচনা সাপেক্ষে গত ১৬ নভেম্বর থেকে পাথর আমদানি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন লিজা এন্টারপ্রাইজের সেলিম আহমেদ, রুনা এন্টারপ্রাইজের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, মেহেদী এন্টারপ্রাইজের কাইয়ুম, মেসার্স ফিদা এন্টারপ্রাইজের আফজাল হোসেন বিপ্লব, রফিক ট্রেডার্সের রফিকুল ইসলামসহ আরো অনেকে। তারা বলেন, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় হাজার হাজার শ্রমিক স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করেছেন। আমরা আশা করছি, এসব বন্ধের সমস্যাগুলো যেন আর না হয়, সেটার জন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
রৌমারীর এলসি পোর্ট (স্থলবন্দর) পাথর ভাঙা কাজে নিয়োজিত শ্রমিক আমিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, মোকছেদ আলী, রফিয়েল হক, সাইদুর রহমানসহ অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলসি পোর্ট (স্থলবন্দর) আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় আমাদের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কষ্টের সীমা ছিল না। গত ১৬ নভেম্বর থেকে আবার পাথর আমদানি শুরু হয়েছে।
আমরা আগের মতো পরিশ্রম করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে পারব।
চর নতুনবন্দর ইনপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ তুহিন বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করত, যা থেকে প্রতিদিন রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছিল সরকার। অন্যদিকে কাজ না থাকায় শ্রমিকরা কষ্টে দিনাতি করত।
সব সমস্যা সমাধান শেষে গত ১৬ নভেম্বর নতুন করে ভারত থেকে পাথর আমদানি হচ্ছে। এভাবে আমদানি-রপ্তানি চলমান থাকলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন, শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ও সরকারের রাজস্ব আয় হবে।
রৌমারী শুল্ক কর্মকর্তা সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে এলসি পোর্টে আমাদানি-রপ্তানির বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাস ও ভারতের বিভিন্ন সমস্যার কারণে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে প্রায় ৮ মাস বন্ধ ছিল। সব ঝুটঝামেলা শেষে গত ১৬ নভেম্বর থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। আমদানি-রপ্তানিতে সরকার রাজস্ব আয় পাবে অন্যদিরক ব্যবসায়ী লাভবান হবে এবং হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুবিধা পাবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়