কাগজ প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছ থেকে অনুমোদন পেলে বাংলাদেশেও ফাইজারের তৈরি করোনা ভাইরাসের পিল আনার উদ্যোগ নেবে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
এ মাসের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার জানায়, তাদের তৈরি অ্যান্টিইরাল পিল প্যাক্সলোভিড পরীক্ষামূলক প্রয়োগ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে বলে প্রমাণ মিলেছে। ওষুধটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে ফাইজার এখন ট্রায়ালে পাওয়া ফল যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে পাঠাবে। একই সঙ্গে ডব্লিউএইচওসহ আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাছেও অনুমোদন পাওয়ার জন্য আবেদন করবে ফাইজার। প্যাক্সলোভিড বাজারে আসলে তা হবে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার দ্বিতীয় ওষুধ। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রথম ওষুধ মলনুপিরাভির বাজারে এসেছে। লাগেভ্রিও ব্র্যান্ড নামে মার্ক শার্প এন্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিকের যৌথভাবে তৈরি ওষুধটি যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পেয়েছে।
বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড নামে ‘মলনুপিরাভির’ পাওয়া যাচ্ছে। প্যাক্সলোভিড বাংলাদেশে আনা হবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই ওষুধটি যদি এফডিএ, ডব্লিউএইচও অনুমোদিত হয় তাহলে তা ব্যবহারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা এর আগে রেমডিসিভির নিয়েছি। সর্বশেষ মলনুপিরাভিরও উৎপাদন করছি। প্যাক্সলোভিড যদি ভালো পর্যায়ে চলে আসে তাহলে আমরা তা অবশ্যই নিব। আমাদের কোম্পানিগুলোও সেই সুযোগ নিশ্চয়ই নেবে। এ ব্যাপারে আমরাও সব ধরনের সহযোগিতা করব। এ নিয়ে সরকারের নীতিগত অবস্থান জানালেও ওষুধ আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এখনো আসেনি বলেও মন্তব্য করেন জাহিদ মালেক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।