মানিলন্ডারিং মামলা : হাইকোর্টে জামিন পাননি এসপিসি ওয়ার্ল্ডের শারমিন

আগের সংবাদ

জাহাঙ্গীর আজীবন বহিষ্কার : আ.লীগের সভায় সিদ্ধান্ত, মেয়র পদ হারাতে পারেন জাহাঙ্গীর > খালেদার টার্গেট আমি : প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

‘আগুনপাখি’ পাখা মেললেন অন্য দেশে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সালটা ২০০৬। তৎকালীন স্টার আনন্দ’র অনুজ টিভি সাংবাদিক ঋতব্রত ভট্টাচার্য’র ফোন পেলাম, জানো তো দাদা, এবার হাসান আজিজুল হক আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন! বললাম, তা জানি, কিন্তু ওর লেখা কখনো পড়িনি, নাম শুনেছি দু-একবার সুনীলদার মুখে, কিন্তু তুই এত উত্তেজিত কেন? ঋতব্রত জানাল, আমার দায়িত্ব পড়েছে রাজশাহী গিয়ে ওনার ইন্টারভিউ নেয়ার। কিন্তু ওনার লেখার অনেক কিছুই বুঝতে পারছি না। কি জিজ্ঞাসা করব? বললাম, ‘আগুনপাখি’ বইটা আছে? দে, পড়ে দেখি কাকে তোরা পুরস্কার দিলি। ঋতব্রত আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গাইডের পুত্রও বটে। ফরাসি সাহিত্যে সুপণ্ডিত। কাজেই ওর প্রতি আমার স্নেহ ও সমর্থন অন্য মাত্রার। ঋত পাঠিয়ে দিল ‘আগুনপাখি’ বইটি। এই লেখকের লেখার সাথে সেই প্রথম পরিচয়। শুরু করতেই ধাক্কা। এ তো দেখছি রাঢ়বঙ্গের মুসলিম সমাজকে উপজীব্য করে লেখা। শুরুতেই অদ্ভুত শিরোনাম- ভাই কাঁকালে পুটুলি। মানে কি? কিন্তু বইয়ের ফ্ল্যাপে পরিষ্কার লেখা আছে- এই সেই উপন্যাস যা মেধাবী পাঠককে দেশ-কাল-ইতিহাসের মুখোমুখি করে। অর্থাৎ না বুঝতে পারলে তুমি মেধাবী নও। কাজেই পড়ার চ্যালেঞ্জ মনের মধ্যে গেঁথে বসল। জানলাম, কাঁকালে মানে কোল আর পুটুলি মানে পোটলা। কমল কুমার মজুমদারের ‘সুহাসিনীর পমেটম’ বা ফ্রানস কাফকার ‘মেটামরফোসিস’ পড়ার মতোই উদ্যোগ নিতে হলো এই উপন্যাস পড়ার জন্য। অর্থাৎ পড়তেই হবে, বুঝতেই হবে, ভালো লাগা মন্দ লাগার বিচার সব শেষে করতে হবে।
পূর্ববঙ্গ থেকে পশ্চিমে আসা দেশত্যাগী হিন্দু বাঙালিদের নিয়ে এপারে প্রভূত উপন্যাস থাকলেও এপার থেকে ওপারে যাওয়া মুসলমান দেশত্যাগীদের নিয়ে কোনো গল্পও আমাদের খুব একটা চোখে পড়েনি। সংখ্যায় কম হলেও কিছুসংখ্যক মুসলমান তো গেছে। দেশ ভাগ তারা কীভাবে নিয়েছেন তা নিয়ে বাংলা সাহিত্য অদ্ভুত নীরবতা পালন করেছে চিরদিন। অথচ তাদেরও তো কিছু বক্তব্য ছিল। তাদেরও তো কিছু অনুভূতি ছিল। তাদেরও তো কিছু ইচ্ছে ছিল। এগুলো প্রথম পেলাম এই ‘আগুনপাখি’ উপন্যাসে। হাসান আজিজুল হক এই উপন্যাসে লিখছেন, স্বামী যখন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করার ইচ্ছে প্রকাশ করে, তখন স্ত্রী তাকে বলে, ‘তোমার বুজিন এ্যাকন ক্ষ্যামতার প্রয়োজন? দ্যাশে কতো রকম হানাহানি হচে, তুমিই তো বলো, হিঁদু-মোসলমানে হানাহানি, বিটিশ তাড়ানোর লেগে হানাহানি, সব জায়গায় হানাহানি। গাঁ-ঘরও বাদ যেচে না। এই হানাহানিতে তুমিও ঢুকবে? ক্ষ্যামতার লেগে?’ (পৃ. ৭১) দাম্পত্য দ্ব›েদ্বর এক অসাধারণ চিত্র। হানাহানি মানে কখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, আবার হানাহানি মনে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন। হানাহানির কলঙ্ক ও ক্ষমতালাভের আকাক্সক্ষার মহিমা একই সঙ্গে প্রকাশিত। কিন্তু গ্রামীণ নারীর ভাবনায়, সকল হানাহানিই ক্ষমতার জন্য, তাই এটি ভালো নয়। ভিটেমাটি বদল হলেও শান্তি আসে না। এই সত্যও উচ্চারিত হয়েছে উপন্যাসের ভেতরে। হিন্দুপ্রধান ভারতের মুসলমানদের অর্থবান একটি অংশ অপশন নিয়ে মুসলিমপ্রধান পাকিস্তানে অভিবাসী হয়েছে। আর মুসলিমপ্রধান পাকিস্তানের হিন্দু গেছে হিন্দুপ্রধান ভারতে। তাই গ্রামীণ নারীর উপলব্ধির প্রকাশ, ‘পানি কুনোদিন ওপরদিকে গড়ায় না। দাঙ্গা হাঙ্গামায় কই ই দেশের এ্যাকটো মোসলমানকে পাকিস্তানে যেতে দেখলম না। গেয়েছে কিনা আমি কি করে জানবে। ই এলাকায় তো দেখলম না। কিন্তুক বড়লোক অবস্তাপন্ন মোসলমানদের লেগে ভালো ঢল নেমেছে পাকিস্তানের দিকে। অ্যানেক মোসলমানই সিদিকে গড়িয়ে যেচে। আমার ছোট খোঁকাটিও একদিন গড়গড়িয়ে চলে গেল। ভালো হলো কি মন্দ হলো, সিকথা আমি বলতে পারব না, শুদু জানলম আমার সব খালি হলো, সাথে আর কাউকে পাব না। এই খালি সোংসারে একা বসে থাকব।’ (পৃ. ১৫১) সকলেই দেশ ছাড়ে। কিন্তু একজন মা দেশ ছাড়ে না, সে সংসারের কর্ত্রী। তার ভিটে মাটির টান আলাদা। ক্রমেই সে হয়ে ওঠে প্রতিবাদের মুখ। সে তাই উচ্চারণ করে, ‘আমি আমাকে পাবার লেগেই এত কিছু ছেড়েছি। আমি জেদ করি নাই। কারুর কথার অবাধ্য হই নাই। আমি সবকিছু শুদু লিজে বুঝে নিতে চেয়েছি। আমাকে কেউ বোঝাইতে পারলে না ক্যানে আলেদা একটা দ্যাশ হয়েছে গোঁজামিল দিয়ে যিখানে শুধু মোসলমান থাকবে কিন্তুক হিঁদু কেরেস্তানও আবার থাকতে পারবে। তাইলে আলেদা কিসের? আমাকে কেউ বোঝাইতে পারলে না যি সেই দ্যাশটা আমি মোসলমান বলেই আমার দ্যাশ আর এই দ্যাশটা আমার লয়।’ (পৃ. ১৫৮) এই অনুভূতি একজন গাঁয়ের তথাকথিত অশিক্ষিত এক মুসলমান রমনীর। যারা কথায় কথায় গঞ্জনা সহ্য করে স্বামীর, কখনো কখনো চড় থাপ্পড়, অথচ সে যে গভীর উপলব্ধি সমাজের বুকে গেঁথে দিয়ে যায় তার রূপকার হাসান আজিজুল হক। এখানে তিনি কষে থাপ্পড় মেরেছেন জিন্না, নেহরু, আজাদ, প্যাটেলদের। সে সময়ের তরুণ শেখ মুজিবও চাননি মনে মনে এভাবে দেশভাগ হোক। দ্বিধায় ভুগেছেন বারবার। এই উপন্যাসে দেশভাগের রাজনীতির শিকার এই পরিবারের সকলেই যখন দেশত্যাগের আয়োজন করছে, তখন সেই নারী নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে বিপ্লবী এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। প্রকাশ পায় তার জীবনদর্শন, ‘আমার সোয়ামি গেলে আমি আর কি করব? আমি আর সোয়ামি তো একটো মানুষ নয়, আলেদা মানুষ। খুবই আপন মানুষ, জানের মানুষ, কিন্তুক আলেদা মানুষ।’ (পৃ. ১৫৮) কী অদ্ভুত প্রকাশভঙ্গিমা। আজকের রূঢ় বাস্তবকে সহজে, অতি সহজে প্রকাশ করা বোধ হয় এই লেখকের পক্ষেই সম্ভব। তিনি এই মহিলাকে প্রতীক করে তুলেছেন দেশভাগের কাঁটাতারের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া অসার সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চারিত কথা আমরা শুনেছি পনেরো বছর আগে।
‘আগুনপাখি’ উপন্যাস মূলত রাজশাহীর আঞ্চলিক ভাষায় রচিত যার সাথে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের কথ্য ভাষার মিশেল রয়েছে। কথাটা আমার নয়। আমার সাথে একবারই এই লেখকের দেখা ও আড্ডা হয়েছিল। যখন এই প্রশ্নটা রেখেছিলাম তার কাছে। তিনি বলেছিলেন যে আমরা বর্ধমানের মানুষ, কিছু মিলজুল তো থাকবেই। এই উপন্যাসে ভিন্ন পর্বের ভিন্ন শিরোনাম যার সাথে ফরাসি সাহিত্যের বেশ প্রভাব আছে। যেমন শুরু ভাই কাঁকালে পুটুলি দিয়ে। তারপরে বিছানা ছেড়ে একদিন আর উঠলেন না, আমার বিয়ের ফুল ফুটল, মাটির রাজবাড়িতে আমার আদর, বড় সোংসারে থই মেলে না, আমার একটি খোঁকা হলো, সোয়ামি সোংসার নিয়ে আমার খুব গরব হলো, সোংসার সুখ-দুখের দুই সুতোয় বোনা বই-তো লয় ইত্যাদি। ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার হিসেবে বাংলা সাহিত্যে এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছেন হাসান আজিজুল হক। ১৯৬০-এর দশকে লেখালিখি শুরু করলেও প্রথম উপন্যাস লেখেন ২০০৬ সালে আগুনপাখি। কাইয়ুম চৌধুরীর আঁকা প্রচ্ছদে ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ উপন্যাসটি প্রকাশ করে সন্ধানী প্রকাশনী। হাসান আজিজুল হকের অন্যান্য লিখনের মধ্যে রয়েছে ‘সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য’, ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’, ‘নামহীন গোত্রহীন’ প্রভৃতি গল্পগ্রন্থ। রয়েছে ‘কথাসাহিত্যের কথকতা’, ‘অতলের পাখি’-র মতো প্রবন্ধ গ্রন্থও। গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জীবন ও চিন্তার উপরে আধারিত তার গ্রন্থ ‘সক্রেটিস’-ও এক উল্লেখযোগ্য কাজ।
হাসান আজিজুল হকের আরেকটি প্রবন্ধগুচ্ছ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। দে’জ পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত প্রবন্ধ সংকলন ‘এই পুরাতন আখরগুলি’। ১৯৯৪ সালে একাত্তর করতলে ছিন্নমাথা নামে একটি বই লেখেন হাসান আজিজুল হক। তার সংশয় জেগেছিল, একাত্তরের ঘটনা নিয়ে ২০-২২ বছর পরে লেখা প্রবন্ধগুলো কেমন হবে। কিছু টুকরোটাকরা, তুচ্ছ স্মৃতি জুড়ে ২০০ পাতার এই পুরাতন আখরগুলি তৈরি করেছেন হাসান আজিজুল হক, সেও স্মৃতির ভরসায়। এই বইয়ের লেখক ঠিক হাসান আজিজুল হক নন আইজুল। আইজুল পড়ে; পড়তে ভালো লাগে, তাই পড়ে। অঙ্ক ছাড়া পড়ায় মনও আছে, যদিও ইংরেজি একটু খটোমটো লাগে। আইজুল খেলেও; অখাদ্য বুনো কাঁচা বেল দিয়ে ফুটবল, শেওড়াগাছের ঝোপের ভিতর কুমিরডাঙা। আইজুল ভাবে, নুন-মরিচের গুঁড়ো দিয়ে কাঁচা আম যে খায়নি, সে দুনিয়ায় আর খেলো কী? শেষ দুপুরের মারণখিদে পেটে নিয়ে ঠাকুরদিঘিতে স্নান, তার পর ভাত খাওয়া, যতখানি পেটে ধরে। কখনো আলু-পোস্ত আর ট্যালটেলে মাষকলাইয়ের ডাল। তার গ্রামটা বিশাল, যেন শেষ হতে চায় না। ধুলো ভরা চওড়া রাস্তা, দু’পাশে ছোট-বড় মাটির বাড়ি, মাঝে ক্ষীণকায় গলি। বুড়ো পাকুড়তলার ছায়ায় বাস করে সাপ, বাদুড়, শিয়াল। গাছ, দিঘি, মাঠ, ঘাট, মন্দির, মসজিদ, আর কিলবিলে মানুষ নিয়ে একটা পৃথিবী। আইজুলের বাবা তেমন লেখাপড়া না করলেও একবার কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিককে দেখেছিলেন। ‘সোজা সাপটা কথা নয়, একজন জ্যান্ত কবিকে তিনি দেখেছেন।’ স্কুলে ভর্তি হয়েই আইজুল বোঝে, দুনিয়ায় সে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে বই। মোটা ঢেপসা নয়, চটি বই। খুব ছোটতেই পড়েছিল বিজনবিহারী ভট্টাচার্যের প্রভাতরবি। গাঢ় হয়েছিল রবীন্দ্রপ্রেম।
অবিভক্ত ভারতের যবগ্রামে আইজুলের বাল্যকাহিনী পড়তে পড়তে মনে পড়ে যায় নীলু নামে এক কিশোরের কথা, প্রায় কাছাকাছি সময়ে যে বেড়ে উঠেছিল পদ্মানদীর পাড়ে। তার চারপাশের পৃথিবীটাও খুব সুন্দর ছিল। কিন্তু তাকেও অল্পে অল্পে বুঝে নিতে হয়েছিল, জীবনের পথে চলতে হয় একাই। সকালবেলার আলো, সুপুরিবনের সারি ও শহরপথের ধুলো সিরিজে শঙ্খ ঘোষের চোখে আমরা তাকে চিনি। আইজুল আর নীলুর যাত্রা একই পথে, অভিমুখ বিপরীত। রাজশাহী-নিবাসী প্রবীণ দর্শনের অধ্যাপক দেখছেন ষাট বছর আগেকার এক অপরিপক্ব কিশোরকে। পৃথক কালপর্ব, পৃথক ভূগোল, পৃথক মানুষ। সাহিত্যতত্ত্বের এক মত বলে, আত্মজীবনী বলে কিছু হয় না, আর পাঁচটা মানুষের মতো তিনিও স্বয়ং দূর থেকেই দেখেন ফেলে আসা মানুষটিকে। এ বই পড়ে সেই উপলব্ধিই হয়। গ্রাম্য প্রকৃতির অজস্র খুঁটিনাটি দেখার জগতের মতোই এগিয়ে চলে, রং পাল্টায় ঋতুতে ঋতুতে।
হাসান আজিজুল হকের নির্বাচিত গল্পের ভূমিকায় শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছিলেন, এতখানি লিখেও বলা সম্ভব নয়, হাসান কেমন। সে প্রয়াস অক্ষম। তাকে জানার শ্রেষ্ঠ উপায়, তাকে পড়ে ফেলা। অনাবিল গল্প বলার ভঙ্গি, তরতর করে এগিয়ে চলা। অভিজ্ঞতাঋদ্ধ এক প্রবীণ মানুষ সবার সামনে ঝুলি উপুড় করে দেন, আর সবাই গোগ্রাসে গেলে। তার ভাষা কেমন, বলতে হয় তার গদ্য ধার করেই : ‘নিতান্তই সরল সহজ’। চলে গেলেন এই আগুনপাখি। উড়ে গেলেন না ফেরার দেশে। আজ সকালেই কথা হচ্ছিল সাংবাদিক ঋতব্রত ভট্টাচার্য’র সাথে। পরিণত বয়সে তার পরলোকে চলে যাওয়া দুঃখের চেয়েও স্মৃতিকাতরতায় ডুবিয়ে দিচ্ছিল আমাদের। এখনকার চ্যানেল হেড তখনকার তরুণ সাংবাদিক ঋতব্রত তেরো বছর আগে প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দ পুরস্কার পেয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কি? হো হো করে হেসে ফেলেছিলেন হক সাহেব, বলেছিলেন- আলাদা করে কী আর প্রতিক্রিয়া হবে! তোমরা আমায় পুরস্কার দেয়া দরকার মনে করছো, এটাই আমার প্রতিক্রিয়া হিসাবে নিয়ে নাও। খ্যাতি বা পুরস্কারের ব্যাপারে এতটাই নিঃস্পৃহ ছিলেন হাসান আজিজুল হক। সেদিন তরুণ সাংবাদিক ঋতব্রত ভরাট সুন্দর গলায় একটা ইন্ট্রো দিয়েছিলেন সেদিন তার প্রতিবেদনে ‘হাসান আজিজুল হক। ফিনিক্স পাখির মতো ঝলসে ওঠা সেই লেখক, যিনি মাটিকে শিল্পে রূপান্তর করেন…’; এরপরে আজ কি বলবেন তার চ্যানেলে? আগুনপাখি পাখা মেললেন নতুন দেশে?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়