মানিলন্ডারিং মামলা : হাইকোর্টে জামিন পাননি এসপিসি ওয়ার্ল্ডের শারমিন

আগের সংবাদ

জাহাঙ্গীর আজীবন বহিষ্কার : আ.লীগের সভায় সিদ্ধান্ত, মেয়র পদ হারাতে পারেন জাহাঙ্গীর > খালেদার টার্গেট আমি : প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ : নীতিনির্ধারকদের কারণেই নৈরাজ্য

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেছেন, সরকারের নীতি-নির্ধারকদের কারণে জ্বালানি ও পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। সরকার শুধু ডিজেলের শুল্ক প্রত্যাহার করলেই তেলের দাম বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন হতো না। মধ্যরাতে ডিজেলের দাম বাড়ানো একটি নাটক। কোনো আলোচনা ছাড়া এভাবে ডিজিলের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। ডিজিলের দাম বাড়ানো এবং পরবর্তী সময়ে বাসের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি পরিকল্পিত। সরকারের অনেকে পরিবহন সেক্টরের চাঁদার টাকার ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে সরকারের লোকজনের সঙ্গে পরিবহন মালিকদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তাদের যোগসাজশেই এই নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে। আমি সরকারকে বলব ডিজেলের দাম প্রত্যাহার করুন এবং নৈরাজ্য থেকে জনগণকে বাঁচান। অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার বলছে ডিজেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে- সমন্বয় করলেই সব সময় দাম বাড়বে কেন? বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বক্তব্য থেকে আমরা জেনেছি- করোনার মধ্যে বিপিসি ৪৪ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। এই টাকাও সরকার নিয়ে গেছে। এই টাকা থেকে ভর্তুকি দেয়া হলে আগামী ১০ বছরেও ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না। কিন্তু সরকার তা না করে ডিজেলের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বাড়ানোর ফলে বাস ভাড়াসহ সব ধরনের পরিবহন ভাড়া বেড়েছে। এর প্রভাব পুরো দেশের মানুষের ওপর পড়েছে। যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। ভারতে ডিজেলের দাম বাড়ানোর পরে তা আবার কমানো হয়েছে। শুল্ক ছাড়া দেয়া হয়েছে। ভারতে দাম বেশি হওয়ায় ডিজেল পাচারের যুক্তি দেখানো হয়েছে। সেখানে ডিজেলের দাম বেশি হওয়ার পরেও ঢাকার তুলনায় কলকাতায় বাস ভাড়া অনেক কম। তারা পারলে আমাদের সরকার কেন বাস ভাড়া কমাতে পারবে না? সরকারকে জ¦ালানি তেলের দাম কমাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এ দেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে তার চিহ্ন রাস্তায় দামি দামি গাড়ি দেখলেই পাওয়া যায়। কিন্তু পাবলিক বাসের কোনো উন্নয়ন হয়নি। সরকার এখানেও মালিকদের স্বার্থটাই বেশি প্রাধান্য দেয়। ভাড়া বাড়ানোর মিটিংয়ে পরিবহন মালিক ও সরকারের লোকজনই থাকে, অন্য কাউকে রাখা হয় না। কেউ যেন বিরোধিতা করতে না পারে সেজন্যই রাখা হয় না। দেশের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সেক্টরকে পুনর্বিন্যাস করতে হবে। এজন্য সবার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। ভাড়ার নৈরাজ্য বন্ধে সরকার লোক দেখানো অভিযান চালাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়