মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : মঠবাড়িয়ায় প্রেম ও পূর্ব শত্রæতার জেরে কিশোর গ্যাংয়ের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রলীগ নেতা রাহাত হোসেন (২০) হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী রনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা পাথরঘাটা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রনি টিয়ারখালী গ্রামের বাহাদুর খানের ছেলে। গতকাল বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রাহাত হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার দক্ষিণ গুলিসাখালী গ্রামের মহারাজ মালের ছেলে শাওন মাল (১৭), আলী ফরাজীর ছেলে আসাদুল ফরাজী (১১), দুর্গাপুর গ্রামের রুহুল আমিন মোল্লার ছেলে নাদিম মোল্লা (১৭) ও সন্দেহভাজন চুন্নু মিয়া ও সেন্টু। নিহত রাহাত হোসেন উপজেলার দক্ষিণ গুলিসাখালী গ্রামের শাহ আলম হাওলাদার ছেলে ও গুলিসাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি এবং ডৌয়াতলা ওয়াজেদিয়া কলেজের ছাত্র। নিহত রাহাতের বাবা শাহ আলম হাওলাদার বাদী হয়ে গত রবিবার ১২ জনের নামসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে উপজেলার টিয়ারখালী আ. মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা শেষে শুভ তার বন্ধুদের নিয়ে গুলিসাখালী আসার পথে বোবা বাড়ি নামক স্থানে পৌঁছলে প্রেম ও পূর্ব শত্রæতার জেরে রনি ও সাব্বিরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা শুভর ওপর হামলা চালায়। এ সময় শুভকে বাঁচাতে তার বন্ধুরা এগিয়ে এলে দেশীয় অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে রাহাত, সানাউল, আরিফ ও আ. লতিফ আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাহাত হাওলাদারকে মৃত ঘোষণা করেন। মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, গ্রেপ্তারকৃত রনি ও বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।