জামালদের বিদায় করে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

আগের সংবাদ

বাস মালিক-শ্রমিকরা বেপরোয়া : এখনো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় > গেটলক-সিটিং সার্ভিস বহাল > বিআরটিএর তৎপরতা লোক দেখানো

পরের সংবাদ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা : দশ বছরে ধূমপায়ী কমেছে ২ কোটি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী ধূমপানসহ নানা উপায়ে তামাক সেবনকারীর সংখ্যা ২০১৫ সালের চেয়ে ২ কোটি কমে এসেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। তামাকের ব্যবহার নিয়ে গতকাল বুধবার সংস্থাটির চতুর্থ প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বের ১৩০ কোটি মানুষ এখন তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করেন। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৩২ কোটি।
ভবিষ্যতে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরো কমে ২০২৫ সাল নাগাদ ১২৭ কোটিতে নেমে আসবে বলেও প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ২০১০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার বিষয়ে ৬০টি দেশ স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছে। দুই বছর আগে এ তালিকায় ছিল ৩২টি দেশ। তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর এবং সমন্বিত ‘ডব্লিউএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (ডব্লিউএইচও এফসিটিসি)’ নীতির মাধ্যমে লাখো মানুষের জীবন রক্ষা করা গেছে জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে, ‘তামাকজনিত মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে’ এটা বড় অর্জন।
সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, প্রতি বছর আরো কমসংখ্যক মানুষকে তামাক ব্যবহার করতে দেখাটা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক এবং বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনে আরো দেশ এই কাতারে যোগ দিচ্ছে। দেশগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের আরো অনেক দূর যেতে হবে এবং তামাক কোম্পানিগুলোও তাদের বিপজ্জনক পণ্য ফেরি করে বিশাল মুনাফা ধরে রাখার যাবতীয় কৌশল ব্যবহার করবে। তামাক সেবন ছেড়ে দেয়ার কাজে সহায়তা করে মানুষের জীবন রক্ষায় নানা ধরনের কার্যকর পন্থা অবলম্বনের জন্য আমরা সব দেশকে উৎসাহ দিচ্ছি। ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদনে ধূমপানে ব্যবহৃত তামাক, সিগারেট, পাইপ, সিগার, ওয়াটারপাইপ, চুরুট, বিড়ি, তামাকজাত পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ইলেক্ট্রনিক সিগারেটের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ২০২০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যার ২২ দশমিক ৩ শতাংশ তামাকজাতপণ্য ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৭ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। বেশির ভাগ দেশেই কম বয়সিদের কাছে বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও বিশ্বের প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ শিশু তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। এসব শিশুর বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে। ২০২০ সালে তামাক সেবনকারী নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে ৫৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সি নারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে ৮০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে। তাদের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষ সরাসরি ধূমপান না করেও কেবল ধূমপায়ীদের সংস্পর্শে থাকার কারণে মারা যাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়