কাগজ ডেস্ক : ককেশিয়া অঞ্চলের দুই বেরী প্রতিবেশী আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সৈন্যরা সীমান্তে ফের সংঘাতে জড়িয়েছে। আর্মেনিয়ার কর্মকর্তারা জানান, লড়াইয়ে তাদের অন্তত ১৫ সেনা নিহত এবং বেশ কয়েকজন আটক হয়েছেন। সীমান্তে দুটি অবস্থানের নিয়ন্ত্রণও তারা হারিয়েছেন। অন্যদিকে আজারবাইজান জানায়, তাদের দুই সৈন্য আহত হয়েছেন এ সংঘর্ষে। গত বছরের ৪৪ দিনের যুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী এ লড়াই শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার আহ্বানে বন্ধ হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য জানিয়েছে, রাশিয়ার মধ্যস্থতায় গত মঙ্গলবার তারা অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তি অনুসারে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্তের পূর্ব অংশে গোলাগুলি বন্ধ হয়েছে, এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ জানানো হলেও আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে তাতে সাড়া দেয়নি বলে জানায় রয়টার্স। বিবিসি জানায়, আর্মেনিয়া মঙ্গলবার আজারবাইজানের আক্রমণ থেকে তাদের ভূখণ্ডগত সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য দীর্ঘদিনের প্রধান মিত্র রাশিয়াকে অনুরোধ জানায়।
এরপর আর্মেনিয়ায় সামরিক ঘাঁটি থাকা রাশিয়া নিজেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসে। পরে আর্মেনিয়া ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রাশিয়ার উদ্যোগে অস্ত্রবিরতি হয়েছে। কিন্তু আজারবাইজান এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলে, আজারবাইজান তাদের সেন্যদের ওপর গোলা নিক্ষেপ করতে শুরু করে এবং ১২ সেনাকে আটক করে। এ সময় সীমান্তে দুটি ঘাঁটি হারানোর কথাও জানায় তারা। আর্মেনিয়ার পার্লামেন্টের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির প্রধান এডুয়ার্ড আগাজেনিয়ান জানান, আর্মেনিয়ার ১৫ জন সেনা নিহত হয়েছে। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আর্মেনিয়ার বাহিনীগুলো আজারবাইজান সেনাবাহিনীর অবস্থানে গোলা নিক্ষেপের মাধ্যমে বড় ধরনের ‘উস্কানি’ দেয়া শুরু করলে তারা পাল্টা জবাব দেয়। বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানায়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ফোনে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদ্বয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। গত বছর বিতর্কিত ছিটমহল নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধে ৬,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।