জামালদের বিদায় করে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

আগের সংবাদ

বাস মালিক-শ্রমিকরা বেপরোয়া : এখনো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় > গেটলক-সিটিং সার্ভিস বহাল > বিআরটিএর তৎপরতা লোক দেখানো

পরের সংবাদ

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশু সানিকে খুন করে খালু : মৃত্যুর আগে ও পরে করা হয় বিকৃত যৌনাচার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ৫ বছরের শিশু সানিকে হত্যার পরিকল্পনা করে খালু চাঁন মিয়া। সে মোতাবেক নিজে একটি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খায়। আর সানিকে ৫টি ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস খাইয়ে দেয়। জুস খাওয়ার পর ধীরে ধীরে অচেতন হতে থাকে সানি। পরে তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে বলৎকার করা শুরু করে চাঁন মিয়া। এতে সানি চিৎকার করার চেষ্টা করলে গলা টিপে হত্যা করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করার পরও থেমে থাকেনি তার বিকৃত যৌনাচার। একপর্যায়ে লাশ বস্তাবন্দি করে পুলিশ বক্সের সামনে ফেলে যায় সে।
দুই বছর আগে রাজধানীর গুলিস্তান পার্ক এলাকায় সানি হত্যার রহস্য উন্মোচন শেষে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ঘাতক খালু চাঁন মিয়াকে গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শিশু সানি ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হয়। তার মা ঝর্ণা বেগম ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে পরদিন সকালে তার বোনজামাই চাঁন মিয়াকে বিষয়টি জানান। ১০ নভেম্বর রাতে পল্টন মডেল থানা এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে থেকে শিশু সানির বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া যায়। পরে সানির মা চাঁন মিয়ার সহায়তায় ল্যাংড়া রাসেল, পিন্টু, জুয়েল, কালাম, পায়েল ও হীরার নামে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ঘটনার আগের দিন রাতে চাঁন মিয়া শিশু সানিকে হত্যার পরিকল্পনা করে উল্লেখ করে ডিবিপ্রধান বলেন, ঘটনার দিন ৯ নভেম্বর বিকালে ফুটপাত থেকে ৬০ টাকা দিয়ে একটি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট কেনে চাঁন মিয়া। সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্টেডিয়াম এলাকা থেকে ৫০ টাকা দিয়ে পাঁচটি ঘুমের ওষুধ কেনে সে। এরপর জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিশু সানিকে খাইয়ে দেয়। আর নিজে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খায়। কিছুক্ষণ পর সানিকে গুলিস্তান পার্ক এলাকায় নির্জন স্থানে নিয়ে বলৎকার করা হয়। এ সময় সানি চিৎকার করার চেষ্টা করলে গলা টিপে হত্যা করা হয়। সানির মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরও বিকৃত যৌনাচার চালানো হয়। পরে চাঁন মিয়া নিজেই মরদেহ বস্তাবন্দি করে রাতে পুলিশ বক্সের সামনে ফেলে যায়। পরদিন সানির মরদেহ পাওয়ার বিষয়ে সানির মাকে খবর দেয়ার মিথ্যা নাটক করে চাঁন মিয়া।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তার চাঁন মিয়ার জীবিকা নির্বাহের নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। চুরি-ছিনতাই করাই ছিল তার মূল পেশা। এসব কাজ করতে গিয়ে ল্যাংড়া রাসেল গ্রুপের সঙ্গে তার শত্রæতা তৈরি হয়। এই শত্রæতার

জেরে ল্যাংড়া রাসেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্যই নিজ শ্যালিকার পাঁচ বছরের শিশু সন্তান সানিকে বেছে নেয় সে। তাকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে নাটক সাজিয়ে মামলা দেয়া হয় ল্যাংড়া রাসেলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়