জামালদের বিদায় করে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

আগের সংবাদ

বাস মালিক-শ্রমিকরা বেপরোয়া : এখনো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় > গেটলক-সিটিং সার্ভিস বহাল > বিআরটিএর তৎপরতা লোক দেখানো

পরের সংবাদ

পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দুঃসাহস!

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অনুশীলন চলাকালীন জাতীয় পতাকা উড়াতে এর আগে কোনো দেশকে দেখা যায়নি। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পাকিস্তানের একপ্রকার ঔদ্ধত্য বলা যায়। জানা গেছে, তিন টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে পাকিস্তান। নেটের চারদিকে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা টানিয়ে এই অনুশীলন করেছেন দেশটির ক্রিকেটাররা। যা নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তাই অনুশীলন ছাপিয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে বিতর্কিত পতাকা উত্তোলন ইস্যু নিয়ে। এমন হবে এটাই স্বাভাবিক। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের এমন আচরণ বাংলাদেশিদের চটে যাওয়ার যথার্থ-যৌক্তিক কারণ আছে বৈকি! পাকিস্তানিদের দৃষ্টতা এর আগেও আমরা দেখেছি। বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকরের পর পাকিস্তান একের পর এক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর তারা এর বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছিল। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের পর তারা শুধু উদ্বেগ প্রকাশ করেই ক্ষান্ত থাকেনি ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। একাত্তরের এ দেশীয় যুদ্ধাপরাধীদের জন্য পাকিস্তানের দরদ থাকা অস্বাভাবিক নয়, কারণ মুক্তিযুদ্ধকালে এই অপরাধীরা তাদের সহযোগী হয়ে তাদের পক্ষ নিয়েই সব অপকর্ম চালিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকালের তাদের এদেশীয় অনুচর, সহযোগীদের জন্য তাদের দরদ থাকতেই পারে। তাই বলে তারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের বিচারিক প্রক্রিয়ার অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সরাসরি এদেশীয় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের পক্ষাবলম্বনের সঙ্গে সঙ্গে তারা মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণসহ সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধে নিজেদের দায়ও অস্বীকার করেছে। চরম নির্লজ্জ মিথ্যাচার। চাইলেই এ ঘটনাগুলো ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না। পাকিস্তানিরা চায় বিভিন্ন কৌশলে এ দেশের স্বাধীনতাকে উপেক্ষা করা। নানা ইস্যুতে এ বিষয়টা সামনে নিয়ে আসে। অনুশীলন মাঠে পতাকা প্রদর্শনও কৌশল ছিল। পরপর দুদিন মিরপুরে পতাকা উড়িয়েছে সফরকারী পাকিস্তান দল। এ নিয়ে বিসিবি নিশ্চুপ। তাদের ভূমিকা এখানে মুখ্য। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আইনে বিদেশি পতাকা উত্তোলন নিয়ে সুস্পষ্ট বিধিবিধান আছে। আইন অনুসারে শর্তসাপেক্ষে সামাজিক অনুষ্ঠানে বিদেশিরা তাদের দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকাও সম্মানজনক স্থানে পাশাপাশি উত্তোলন করতে হবে। আমরা যখন মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি, তখন পাকিস্তান ক্রিকেটারদের জাতীয় পতাকা মাঠে গেড়ে প্র্যাকটিস করার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ক্রিকেটারদের নিয়মবহির্ভূত আচরণে সমুচিত জবাব দিতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। পাকিস্তান দলকে এ ব্যাপারে কৈফিয়ত দিতে হবে এবং তাদের এই ঔদ্ধত্যের জন্য বাংলাদেশের কাছে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়