জামালদের বিদায় করে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

আগের সংবাদ

বাস মালিক-শ্রমিকরা বেপরোয়া : এখনো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় > গেটলক-সিটিং সার্ভিস বহাল > বিআরটিএর তৎপরতা লোক দেখানো

পরের সংবাদ

জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলন : বিচারের ধীরগতিতেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি প্রশাসনের ভিতরে থেকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মধ্য দিয়ে দেশকে চরম বিশৃঙ্খল ও দেশকে হিন্দুশূন্য করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ। পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, বিচার প্রক্রিয়া ধীরগতির কারণে একের পর এক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সময় ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণে নিষ্ক্রিয় ছিল এবং ঘটনার পর বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করে প্রকৃত অপরাধীদের রক্ষা করার অপচেষ্টা করছে। নেতারা আরো বলেন, প্রতিবারই ধর্মীয় অবমাননার অজুহাত তুলে সংখ্যালঘুদের মঠ-মন্দির, দেবালয়, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে, নিরীহ সনাতনীদের হত্যা ও মা-বোনদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। আমরা চাই প্রকৃত চিহ্নিত দুষ্কৃতকারীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক কিন্তু কোনো নিরীহ ও নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে অভিযুক্ত না হয়। গতকাল বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের হলে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ-কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী শ্রীকৃষ্ণের রাস-মহোৎসব উদযাপন উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্যে পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুকুমার চৌধুরী বলেন, রাস-মহোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
বিগত ৩৮ বছর ধরে চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমী ও রাস-মহোৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশব্যাপী যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পালন করা হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলায় বস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, অনাথ ও দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণসহ গীতাপাঠ, সন্ধ্যারতি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস-মহোৎসব ও ভোগ, দেশ ও জাতির কল্যাণে এবং করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য সমবেত প্রার্থনা করা হবে। পরিষদের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী অনাথালয় ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে চার দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সাধু ও বৈষ্ণবদের সংবর্ধনা, রাষ্ট্রীয় অতিথিদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লীলা প্রদর্শনী, ষোড়শ প্রহরব্যাপী

তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ ও মহাপ্রসাদ বিতরণ।
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিগুলো হচ্ছে- সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত, ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত মঠ-মন্দির, আশ্রম-দেবালয়গুলো রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পুনর্নির্মাণ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিভ্রান্তিকর মিথ্যা মন্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এবং দুর্গাপূজায় ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করা। জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুজিত কুমার বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন তালুকদার, আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য, প্রকৌশলী আশুতোষ দাশ, হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, গৌরহরি দাস ব্রহ্মচারি, মুকুন্দ ভক্তি দাস ব্রহ্মচারি, সুমন দেবনাথ, শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়