তিনজন গ্রেপ্তার : কৌশলে পানের ভেতর ইয়াবা পাচার

আগের সংবাদ

শূন্য থেকে মহাশূন্য জয় : ডিজিটাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

হাফ ভাড়ায় রাইদা পরিবহনের সমঝোতা : শিক্ষার্থীকে ‘ঘাড়ধাক্কা’র জেরে রামপুরায় অর্ধশত বাস আটক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় রাজধানীর রামপুরায় রাইদা পরিবহনের একটি বাস থেকে এক শিক্ষার্থীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয় চালকের সহকারী। গতকাল সোমবার দুপুরে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ৫০টি বাস আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দীর্ঘ আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নিতে রাজি হয় রাইদা পরিবহনের মালিকপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র দেখালে তাদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয়ার বিষয়টি রাইদা কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম।
গতকাল বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তিনি বলেন, হেনস্তার শিকার শিক্ষার্থী ঢাকা ইম্পিরিয়াল কলেজের ছাত্র। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন মূলত ওই কলেজেরই শিক্ষার্থীরা। তিনি জানান, সমঝোতা বৈঠকে শিক্ষার্থীরা দাবি করে, ঢাকা শহরের যে কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয়পত্র দেখালে হাফ ভাড়া নিতে হবে। এছাড়া প্রতিটি বাসে নারীদের জন্য যে ৯টি আসন সংরক্ষিত থাকে সেখানে কোনোভাবেই পুরুষ বসতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের এসব দাবি রাইদা পরিবহন কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে।
এর আগে দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে রামপুরায় বিটিভি ভবনের সামনে রাইদা পরিবহনের একটি বাস থেকে এক শিক্ষার্থীকে ‘ঘাড় ধাক্কা’ দিয়ে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রুটের অন্তত অর্ধশত বাস আটকে রাখে। পরে অভিযুক্ত রাইদা পরিবহনের ২০টি বাস রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দেয়া হয়।
এই ঘটনায় রামপুরা সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় সমঝোতার জন্য উভয়পক্ষকে ডেকে আনে পুলিশ। পরে সমঝোতা হয়। অভিযোগকারী শিক্ষার্থী বাড্ডা আফতাব নগরের ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী।
রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের ফোন করে জানালে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে রাইদা পরিবহনসহ ওই রুটের প্রায় ৫০টি বাস আটক করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলে তারা সড়ক থেকে সরে যায় এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অভিযুক্ত বাসটি আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাস কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা করে বিকালে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। এর পর আটক সব বাস ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়