তিনজন গ্রেপ্তার : কৌশলে পানের ভেতর ইয়াবা পাচার

আগের সংবাদ

শূন্য থেকে মহাশূন্য জয় : ডিজিটাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

ফুটবলে আশার আলো দেখাচ্ছেন লামোস

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের ফুটবল কিছুদিন আগেও অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ইংলিশ কোচ জেমি ডে এনে দিতে পারছিলেন কোনো সফলতা। একের পর এক ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ফুটবল হয়ে উঠেছিল এক অভিশাপের নাম। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১০ ম্যাচের ২টি ড্র বাদ দিয়ে বাকি সব ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। জেমি ডের অধীনে সর্বশেষ ফিলিস্তিন এবং কিরগিজস্তানের বিপক্ষেও হেরেছে বাংলাদেশ। এরপর দলের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় দেশের ঘরোয়া লিগের সফল কোচ অস্কারের ব্রুজনের হাতে। তবে তিনি শুধু সাফের দায়িত্ব নিতেই রাজি ছিলেন। দলের সফলতা এনে দিতে না পারলেও তার অধীনে বেশ উন্নতি করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। তবে মালদ্বীপের বিপক্ষে দেড় যুগের হারের ব্যর্থতা থেকে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের বের করতে পারেননি ব্রুজন। বসুন্ধরা কোচ না পারলেও পেরেছেন ঘরোয়া লিগের আরেক কোচ মারিও লামোস। তার অধীনে বাংলাদেশ দল ১৮ বছর পর হারিয়েছে মালদ্বীপকে।
২০০৩ সালের পর মালদ্বীপের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার রাজাপাকসে টুর্নামেন্টে গত ১৩ নভেম্বর জয় পায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জন্য সা¤প্রতিক সময়ে ভয়ংকর এক প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ। সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ২-০ গোলের হারটি ছিল দ্বীপ দেশটির বিপক্ষে বাংলাদেশের টানা চতুর্থ হারের লজ্জা। বাংলাদেশ কবে হারিয়েছিল মালদ্বীপকে তা অনেকে ভুলতেই বসেছিলেন। কারণ ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর ৫ ম্যাচ খেলে চারটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। একটি ম্যাচ হয়েছিল ড্র। চার হারের মধ্যে ৫-০ গোলের লজ্জাজনক ব্যবধানও আছে। অথচ এক সময় এই দলটিকে গুনে গুনে গোল দিত বাংলাদেশের ফুটবালররা। এবার গুনে গুনে গোল না হোক, অন্তত ১৮ বছর পর লামোসের হাত ধরে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারল বাংলাদেশ।
পর্তুগিজ কোচ মারিও লামোস এর আগে ২০১৭-১৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিটনেস কোচের দায়িত্বপালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের ফুটবল ক্লাব আবাহনীর দায়িত্বপালন করছেন। তার অধীনে ৫৯ ম্যাচে ৪০টি জয়ের দেখা পেয়েছে ঢাকা আবাহনী। ১০ ম্যাচে হার, বাকি ৯ ম্যাচে ড্র।
তার অধীনে আবাহনীর ম্যাচ জয়ের অনুপাত প্রায় ৬৮ শতাংশ। আবাহনীর আগে লামোস মালেশিয়ান ফুটবল ক্লাব নেগেরী সেমবিলানে কোচের দায়িত্বপালন করেছেন। জেমি ডের পরিবর্তে সাফে বাংলাদেশের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছিল বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজনের হাতে। তবে সাফের ব্যর্থ মিশন শেষে দেশে ফিরে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে অপরাগতা জানালে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় লামোসকে। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্থায়ী কোচ হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। তবে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারলে এবং দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক হলে জামালদের পরবর্তী স্থায়ী কোচ হিসেবে হয়তো নিয়োগ পেতে পারেন মারিও লামোস।
তবে ঘরোয়া লিগের ফুটবল কোচদের দিয়ে ভালোই সফলতা পাচ্ছে বাংলাদেশ। জেমি ডেকে অব্যাহতি দেয়ার পর শেষ ছয় ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে মাত্র একটি ম্যাচে।
মালদ্বীপের বিপক্ষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ওই ম্যাচে ২-০ গোলে হারলেও খেলায় ছন্দ ছিল জামালদের। ইংলিশ কোচ জেমি ডের অধীনে বাংলাদেশ সর্বশেষ জয়ের দেখা পেয়েছিল ২০২০ সালের নভেম্বরে। এরপর তার অধীনে ৮ ম্যাচ খেলেও জয়ের দেখা পায়নি জামালরা। হেরেছে কিরগিজস্তানের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষেও। এরপর অস্কার এসে দলকে জয় এনে দেন। সাফের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় তুলে নেয়। এরপর শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভারতের বিপক্ষে ১০ জনের দল হয়েও ড্র করে বাংলাদেশ। তবে স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে ওই আসরে ২-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। ব্রুজনের এই একটাই ব্যর্থতা। বাংলাদেশকে বের করতে পারেননি ১৮ বছরের হারের বৃত্ত থেকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়