তিনজন গ্রেপ্তার : কৌশলে পানের ভেতর ইয়াবা পাচার

আগের সংবাদ

শূন্য থেকে মহাশূন্য জয় : ডিজিটাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

নিচ্ছে বাড়তি ভাড়া : গেটলক-সিটিং সার্ভিস চলছেই

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর গণপরিবহনে ‘সিটিং সার্ভিস’ এখনো বন্ধ হয়নি। বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়াও নেয়া হচ্ছে। মোবাইল কোর্টের অভিযান এবং পরিবহন মালিক সমিতির ভিজিলেন্স টিমের তৎপরতার পর গতকাল সোমবারও রাজধানীতে ‘সিটিং সার্ভিস’ লেখা বাসগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেক বাসেই এখন বিআরটিএর ভাড়ার তালিকার কাগজ খুঁজে পাওয়া যায় না। বাসের লোকজন জোর করেই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।
মোহাম্মদপুর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলরত বাসগুলোতে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি। এখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রুটের বাসগুলো ‘সিটিং সার্ভিস’, সকালের দিকে ‘গেটলক সার্ভিস’ ও ‘ডাইরেক্ট সার্ভিস’ নামে এখনো বহাল তবিয়তে চলাচল করছে। মোহাম্মদপুর থেকে সাইনবোর্ড, মতিঝিল ও গুলিস্তান রুটের বেশির ভাগ বাসেই এখনো বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা সাঁটিয়ে দেয়া হয়নি। গতকাল এই রুটের রজনীগন্ধা পরিবহন, তরঙ্গ পরিবহনের বাসে ভাড়ার তালিকা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বেশি ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পরও ভাড়া কমছে না। এই রুটের বাসের সামনে ডিজেলচালিত ও সিএনজিচালিত বাস চিহ্নিত করার কোনো স্টিকার লাগানো হয়নি। গাড়ির ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন আছে। কিন্তু গত সপ্তাহখানেক ধরে রাজধানীতে বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট অভিযান চালালেও মোহাম্মদপুরের এই রুটে শৃঙ্খলা ও যাত্রী হয়রানি ঠেকাতে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম দেখা যায়নি। এই রুটে যাত্রী হয়রানি ঠেকাতে হলে মোবাইল কোর্টের দ্রুত অভিযান চালানো প্রয়োজন বলে মনে করেন যাত্রীরা।
রজনীগন্ধা পরিবহনের যাত্রী কাওছার অভিযোগ করেন, ভাড়া বাড়ানোর পর যাত্রীরা মোহাম্মদপুর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ২৫ টাকা ভাড়া দিচ্ছেন। গতকাল তিনি ঝিগাতলা থেকে বাসে উঠে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে নামেন। তাকেও ২৫ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে। সিটিং সার্ভিস এবং ওয়েবিলের কথা বলেই তার কাছ থেকে এই বেশি ভাড়া আদায় করা হয়। এই রুটের অন্য বাসেও একই হারে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
এদিকে মিরপুর ১ নম্বর-গুলিস্তান রুটের দিশারী পরিবহনেও বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শ্যামলী থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর যেতে বাসে ওঠা যাত্রী খাইরুল অভিযোগ করেন, ১০ টাকার ভাড়ার স্থলে সিটিং সার্ভিসের নামে ২০ টাকা আদায় করছে। এই এলাকার সড়কে এখনো বিআরটিএর অভিযান দেখা যায়নি। অনেক বাস এখনো ‘গেটলক’ ও সিটিং সার্ভিস’ চালু রেখেই যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। দিশারী পরিবহনের বাসে মিরপুর ১ নম্বর থেকে প্রেস ক্লাব পযন্ত ৩০ টাকা ভাড়া বলে কন্ট্রাকটর জানায়। কিন্তু বাসে উঠে চার্টে দেখা যায় ভাড়া ২৪ টাকা। যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়াই আদায় করা হচ্ছে। গেটলক সার্ভিস বলা হলেও বাসস্ট্যান্ড ছাড়াই পথে পথে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানোর দৃশ্যও চোখে পড়ে। একই সঙ্গে আবার ‘ওয়েবিল’ নামক প্রতারণাও চলছে। চেকাররা ওয়েবিলে যাত্রী সংখ্যা কম লেখার বিনিময়ে সিগনেচার দিয়ে কন্ডাক্টরের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা নিচ্ছে।
মিরপুর-আজিমপুর রুটের আশীর্বাদ পরিবহনে ‘সিএনজিচালিত’ স্টিকার থাকার পরও যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। মিরপুর ১ নম্বর পর্যন্ত ২০ টাকা ভাড়াই নেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়