তিনজন গ্রেপ্তার : কৌশলে পানের ভেতর ইয়াবা পাচার

আগের সংবাদ

শূন্য থেকে মহাশূন্য জয় : ডিজিটাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

নাগেশ্বরীতে নির্বাচনী প্রচারণায় শিক্ষার্থীদের ব্যবহার : স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : নাগেশ্বরীতে নির্বাচনী কাজে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা সেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে পৃথক দুটি কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়ে তাকে এ নোটিস দেয়া হয়।
আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় দফা অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে কেদার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান। শনিবার দুপুরে বিষ্ণুপুর নয়আনা গ্রামে তিনি তার বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ডাকেন। এজন্য এদিন স্কুলে অগ্রিম ছুটির ঘণ্টা বাজানো হয়। পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ৪ কিলোমিটার পথ হেঁটে তার বাড়িতে যায়। সেখানে তাদের নিয়ে নির্বাচনী বৈঠক করেন প্রধান শিক্ষক। বৈঠকে ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে মোটরসাইকেল প্রতীকে তাদের বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনের কাছে ভোট চান। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমরা তাদের কাছে ওয়াদা নিবে। তারা যেন অবশ্যই মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট দেন। পরে তা প্রকাশ পায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায়। পরদিন রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাছুম বিষয়টি অবগত হয়ে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেদার ও কচাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সিনিয়র মৎস্য অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দুটি পৃথক পত্র দেন। ওই দিনেই মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন। অন্যদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম তাকে আরো একটি নোটিস দেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রার্থী ও প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ মাছুম বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা সিনিয়র মৎস্য অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সিনিয়র মৎস্য অফিসার শাহাদৎ হোসেন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম জানান, চিঠি প্রাপ্তির পরে ওই প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়