তিনজন গ্রেপ্তার : কৌশলে পানের ভেতর ইয়াবা পাচার

আগের সংবাদ

শূন্য থেকে মহাশূন্য জয় : ডিজিটাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে পুলিশ হত্যায় যুবকের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নগরীতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) খুনের দায়ে এক ছিনতাইকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত বাকি সাত আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। ১৫ বছর আগে সংঘটিত এই হত্যা মামলায় পুলিশের তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত এবং এ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি কমিশনারের কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়া এ রায় দেন। দণ্ডিত মো. জাকির হোসেন (৩০) রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়।
রায় প্রদানকারী আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ওমর ফুয়াদ বলেন, ‘দণ্ডিত জাকির ছিনতাইকারী চক্র মলম পার্টির সদস্য হিসেবে এজাহার ও অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে। তাকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মামলার অভিযোগপত্রে থাকা বাকি সাতজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ মোট ২১ জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে। রায় ঘোষণার সময় আদালত মৌখিকভাবে মামলার তদন্তে দুর্বলতার বিষয় তুলে ধরেন। বিচারক তদন্তে ত্রæটি সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ সিএমপি কমিশনারের কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত এএসআই (সশস্ত্র) মো. ইদ্রিস মিয়া ছুটিতে চট্টগ্রামে এসে ২০০৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর খুন হন। পরদিন সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার সিএন্ডবি বিসিক শিল্প এলাকার ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানার এসআই কে এম পেয়ার আহমেদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ছিনতাইকারী দল তার চোখে মলম লাগিয়ে তাকে ছুরিকাঘাতে খুন করে লাশ সড়কের পাশে ফেলে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়