তিনজন গ্রেপ্তার : কৌশলে পানের ভেতর ইয়াবা পাচার

আগের সংবাদ

শূন্য থেকে মহাশূন্য জয় : ডিজিটাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

ইইউ দূত হোয়াইটলি : দিনশেষে দেখতে চাই প্রতিটি ভোট গণনা হয়েছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিজ দেশে ফিরে যাবে- এটাই আশা করে ইইউ। এজন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। চার্লস হোয়াইটলি আরো বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইইউ কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা দিলেও সেখানে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে ইইউ। মিয়ানমারে আমরা যদি কাজ না করি তবে অন্য কেউ এসে সে জায়গা দখল করবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মহলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তাই এ দেশের নির্বাচনকে গুরুত্ব দেয় তারা। আমরা যারা বাংলাদেশে কাজ করি, তাদের সবারই এখানে স্বার্থ আছে। এখানে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করছি না। এ দেশটির স্টকহোল্ডার বা অংশীদার হিসেবে দিনশেষে আমরা দেখতে চাই, প্রতিটি ভোটার যে ভোট দিয়েছেন, তা কাউন্ট হয়েছে বা গণনা করা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে ইইউ খোলামেলা কথা বলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আমি ১২ বছর আগে বাংলাদেশে এসেছিলাম। তখন থেকে এখন বর্তমানে অবকাঠামো দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। তিনি বলেন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও এ দেশের সুশীল সমাজের সঙ্গে ইইউ সম্পর্ক রেখে চলেছে। আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার নিয়ে যেসব প্রতিবেদন হয় সেগুলোকে আমরা স্বাগত জানাই।
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কোনো ইভেন্ট নয়। এটি একটি প্রসেস। জাতীয় নির্বাচন হতে এখনো দুই বছর বাকি। বাংলাদেশ ভোট দেওয়ার চর্চা অব্যাহত রাখবে। ইইউ বাংলাদেশের ভোট ও নির্বাচনের ওপর পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। এ সময় তিনি ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পাওয়া নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জিএসপি পাওয়া কোনো পিকনিক নয়। অন্যান্য শর্ত পূরণের মাধ্যমে এটাও বাংলাদেশকে অর্জন করতে হবে। সা¤প্রতিক সা¤প্রদায়িক আক্রমণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউ এ বিষয়ে দৃষ্টি রেখে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো এ ঘটনার (সা¤প্রদায়িক আক্রমণ) পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছেন, সংখ্যালঘু জনগণকে অবশ্যই নিরাপত্তা দিতে হবে। অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সভাপতি পান্থ রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিনও বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়