‘শিশু বক্তা’ রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

আগের সংবাদ

চমক থাকছে টাইগার স্কোয়াডে ; মিরপুরে পতাকা উড়িয়ে পাকিস্তানের অনুশীলন

পরের সংবাদ

৩১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ : পি কে হালদারসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আরো পাঁচ মামলা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ৩১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে পৃৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রবিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়। এর আগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে সাতটি মামলার অনুমোদন দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, বাকি দুটি মামলাও খুব শিগগিরই দায়ের করা হবে। এ সময় সাংবাদিকরা পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে দুদক সচিব বলেন, পি কে হালদারের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইন্টারপোলকে দেয়া হয়েছে, যাতে তাকে শনাক্ত করা যায়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বোর্ডের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে জাল রেকর্ডপত্র তৈরির মাধ্যমে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ঋণ পেতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছেন। আসামিরা এভাবে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় ৩১৮ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পৃথক সাতটি মামলার অনুমোদন দেয়া হয়। যেসব কোম্পানির নামে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়, সেগুলো হলো- জি এন্ড জি এন্টারপ্রাইজের নামে ৩০ কোটি টাকা, তামিম এন্ড তালহা ব্রাদার্স লিমিটেডের নামে ৩০ কোটি টাকা, গ্রিনলাইন ডেভেলপমেন্টের নামে ৬০ কোটি টাকা, এমটিবি মেরিন লিমিটেডের নামে ৬০ কোটি টাকা এবং পি এন্ড এল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নামে ৫০ কোটি টাকা।
পি কে হালদার ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, সাবেক এমডি মো. রাশেদুল হক, ৯ জন বোর্ড মেম্বার, পি কে হালদারের আত্মীয়স্বজন ও সহযোগীসহ মোট ২৯ জন। এর আগে গত ১০ নভেম্বর ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুদক। অনুমোদিত চার্জশিটে আসামি হিসেবে রয়েছেন পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে

হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করলেও তদন্ত পরবর্তী চার্জশিটে আসামির সংখ্যা বাড়ে। ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতায় এ পর্যন্ত ৮৩ ব্যক্তির প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সম্পদ আদালতের মাধ্যমে ফ্রিজ করে দুদক।
প্রসঙ্গত, ১২শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত মোট ১৫টি মামলা করে দুদক। যেখানে মোট আসামি ৩৭ জন। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন ১১ জন। এছাড়া বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে ৬৯ জনের বিরুদ্ধে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়