‘শিশু বক্তা’ রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

আগের সংবাদ

চমক থাকছে টাইগার স্কোয়াডে ; মিরপুরে পতাকা উড়িয়ে পাকিস্তানের অনুশীলন

পরের সংবাদ

স্থানীয় সরকার প্রসঙ্গে কিছু কথা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ

স্থানীয় সরকার প্রসঙ্গটি যদিও বহুবার আলোচনায় স্থান পেয়েছে, এবারে এই ২০২১-এর শেষ প্রান্তে এসে একটি বড়সংখ্যক বিশৃঙ্খলা, বিতণ্ডা, দলাদলি ও জনা দশেক বা তার বেশি প্রার্থী, সমর্থক বা কর্মীর মৃত্যুতে তা যেন এক মূর্তিমান আতঙ্কে পর্যবসিত হয়েছে। অবশ্য প্রায় নির্বাসনে যাওয়া আমাদের গণতন্ত্রে ও অবিশ্বাস্য ধরনের অসুষ্ঠু নির্বাচন খুব একটা নতুন কিছু নয়।

কথা পরিচ্ছদ-স্থানীয় শাসন
৫৯(১) আইনানুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের ওপর প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক একাংশের শাসনের ভার প্রদান করা হইবে।
(২) এই সংবিধান ও অন্য কোন আইন সাপেক্ষে সংসদে আইনের দ্বারা যে রূপ নির্দিষ্ট করিবেন, এই অনুচ্ছেদের (১) দফায় উল্লেখিত অনুরূপ আইনে নিম্নলিখিত বিষয় সংক্রান্ত দায়িত্ব অন্তর্ভুক্ত হইতে পারিবে:
(ক) প্রশাসন ও সরকারি কর্মচারীদের কার্য্য;
(খ) জনশৃংখলা রক্ষা;
(গ) জনসাধারণের কার্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
৬০। স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা এই সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদের বিধানাবলীতে পূর্ণ কার্যকরতা প্রদানের উদ্দেশ্যে সংসদ আইনের দ্বারা উক্ত অনুচ্ছেদে উল্লেখিত স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্থানীয় প্রয়োজনে কর আরোপ করিবার ক্ষমতাসহ বাজেট প্রস্তুতকরণ ও নিজস্ব তহবিল রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষমতা প্রদান করিবেন।
ব্যস। এখানেই শেষ। এর বেশি আর কোনো কিছু সংবিধানের পৃষ্ঠাগুলো খুঁজে পেলাম না। তেমনই আবার যে যে বিধানাবলীর উল্লেখ রয়েছে তা অস্পষ্ট, অনির্দিষ্ট, ভাসা ভাসা এবং দুর্বোধ্য বলে মনে হয়েছে। অথচ জনগণের কাছাকাছি বা তৃণমূলে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানগুলো গণতন্ত্র শিক্ষা, গণতন্ত্র চর্চা ও গণতন্ত্র বিস্তারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক এবং গুরুত্বপূর্ব অবদান রাখতে পারত।

ইউনিয়ন পরিষদ
‘স্থানীয় শাসন’ বলে সংবিধানে উল্লেখ করা থাকলেও মন্ত্রিসভার সদস্য থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষও বলে থাকেন ‘স্থানীয় সরকার’ বা ‘Local Government’ এই দুটি শব্দগুচ্ছের মধ্যে অর্থগত ফারাক অনেক। স্থানীয় সরকার বললে ওই সরকার তুলনামূলকভাবে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান বলে মনে হয়- ‘স্থানীয় শাসন’ বললে শুধুই শাসনের ক্ষমতা সম্পন্ন বলে অনুভূত হয়।
অথচ এই ইউনিয়ন পরিষদগুলো দিনে দিনে কার্যত মারাত্মকভাবে দলীয়করণের শিকারে পরিণত হয়েছে। এর প্রমাণ হিসেবে দেখা গেল সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে ভয়াবহ সহিংসতা ও পরিণতিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী বা প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে পরস্পর সংঘর্ষ ও মৃত্যু। এটি কম-বেশি অতীতেও ছিল- কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক দেয়ার বিধান করার পর থেকে এই সহিংসতার ভয়াবহতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দলীয় প্রতীক মানে দলীয় মনোনয়নের ফলে গ্রামাঞ্চলে দলীয় বিভেদ হিংসাত্মক রূপ পরিগ্রহ করেছে। বিধানটি করার সময় এর যথেষ্ট প্রতিবাদ হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল সরকার সারাদেশে দলীয়করণের রাজনীতিকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় তা দিব্যি কাজে পরিণত হয়েছে।
দলগুলো, বিশেষ করে বৃহৎ দল মনোনয়ন দেয়ার আগে বলে থাকে, তৃণমূল থেকে যাকে সমর্থন দেয়া হবে, কেন্দ্রও তা মেনে নিয়ে সেই প্রার্থীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে। এখান থেকেই শুরু হয় তদবির, দলের মধ্যে দলাদলি বা উপদলীয় চক্রান্ত এবং পরিশেষে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রাচুর্য। এই বিদ্রোহীরা মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধই হন না শুধু, মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রতিদ্ব›দ্বীকে যেনতেন প্রকারের হারানোর চেষ্টা করেন। প্রার্থীরা অনেকেই (প্রায় সবাই) আর্থিকভাবে ধারণাতীতভাবে সচ্ছল। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোটি টাকা খরচ নাকি বহু চেয়ারম্যান প্রার্থীই করে থাকেন। গোটা ইউনিয়ন হয়ে ওঠে সেøাগানে সেøাগানে মুখরিত। অনেক ক্ষেত্রে ওই প্রচারণা শালীনতা বর্জিত হয়ে ওঠে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আর্থিকভাবে দুর্বল কোনো প্রার্থী দাঁড়ালে একদিকে ধর্মীয় উসকানি অন্যদিকে অর্থাভাবের জন্য জয়লাভ করলে দুর্নীতি করবেন এমন প্রচারণা দিব্যি চলে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নির্বাচনী বিধি-বিধান, নির্বাচন কমিশনের জ্ঞাতমতেই কিন্তু কোনো ব্যবস্থা ব্যতিরেকেই নির্বাচন শেষ- ধনী প্রার্থীর বিজয় সূচিত হয়।
কিন্তু এত যে বিবাদবিসংবাদ, এত লোকের আহত হওয়া, এত লোকের মৃত্যুর বিনিময়ে যা পাওয়া যায় তা হলো ধনিক প্রার্থীদের নির্বাচিত বলে ঘোষণা। সৎ, দেশপ্রেমিক, অর্থ-বিত্তে দুর্বল প্রার্থী দাঁড়ান না বা হঠাৎ কেউ দাঁড়ালেও ইনি তো মানুষ হিসেবে ভালো এবং প্রার্থী হিসেবেও যোগ্য কিন্তু উনি তো জিততে পারবেন না- তাই ওনাকে ভোট দিয়ে লাভ কী? ব্যস, নির্বিঘেœ ধনী প্রার্থীরা বিপুল টাকার বিনিময়ে জিতে গেলেন আর পরাজিত সৎ প্রার্থীটাও সাধারণ; একই বৃহৎ দলের হওয়াতে তিনি পরাজিত হলেন না- পরাজিত হলো গণতন্ত্র ও সততা। যার পরিণতিতে চাল চুরি, গম চুরি, টাকা চুরি, বিধবা ও অন্যান্য ভাতা চুরি, মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে দানের জন্য বাড়ি নির্মাণে পুকুর চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও খুব কম ক্ষেত্রেই তারা সাজা পান। আর ওই বিনামূল্যের বাড়ি (যাকে প্রধানমন্ত্রীর দান বলে বলা হয়) সেগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই তার কিছু অংশ ধসে পড়ে, কিছু অংশ দু-এক মাসের মধ্যেই ধসে পড়ে … ইত্যাদি। এই নির্মাণকাজ সুপারভাইজ করেন সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউএনওরা। তারাও তদন্ত বা শাস্তির বাইরে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলোয় ঝরে যাওয়া প্রাণগুলো বহু কিছুর ইঙ্গিত দেয়।
আসলে আমাদের দেশে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কোনগুলো? কতগুলো এবং কী কী তাও লিখিতভাবে নানা সময়ে পরিবর্তিত হয় কিন্তু সংবিধানে নেই। সংবিধান অবশ্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও তার ক্ষমতা পরিবর্তনের অধিকার রাখে, যা নিয়মিতভাবে সরকারি গেজেট না রাখলে জনগণের জানার কোনো অধিকার নেই। দৃশ্যত দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদগুলো আর নেই, নামমাত্র ধার্য করা ট্যাক্স আদায়ের অথবা আগামী নির্বাচনে ভোটের সংখ্যা কমে যেতে পারে এমন আশঙ্কায়।

উপজেলা পরিষদ
এর ওপরে আছে উপজেলা পরিষদ। যার আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের হাতে থাকলেও মূল ক্ষমতার চাবিকাঠি ইউএনওদের ওপর। এভাবে নিচু থেকেই সরকারি আমলারা জনপ্রতিনিধিদের (নির্বাচিত) স্যার-এ পরিণত হন। উপজেলা পরিষদের সদস্য হন সংশ্লিষ্ট উপজেলার অধীন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। এরা ইউএনও যা বলেন, যে সব অনুমোদন করেন- উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়ি-বাড়ি থাকলেও তারা ওইগুলো মেনে থাকেন। বিরূপ অভিমত উপরে ইউএনওরা পাঠালে বা ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানালে কমপক্ষে অস্থায়ীভাবে অপসারিত হন। এভাবে আমলাদের দৌরাত্ম্য বাড়ে কিন্তু জনসাধারণের উন্নত রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ও কৃষিসহ অন্যান্য আর্থিক উন্নয়ন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাগজেই থেকে যায়।

পৌরসভা
পরবর্তী ধাপে আমরা দেখি পৌরসভা। এর মেয়র ও কাউন্সিলররা সবাই অবশ্য পাঁচ বছর অন্তর অন্তর ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। দলীয়করণের বিষয়টি এখানে আরো প্রকাশ্য। সব প্রার্থীর (যারা দলীয় মনোনয়ন চান বা পান) জন্য নির্দিষ্ট প্রতীক বরাদ্দ হয়, দলীয় রেষারেষি মনোনয়ন পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে দিব্যি চলে। দুর্ঘটনাও ঘটে, তবে শহর এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় প্রার্থীদের মধ্যে বচসা হলেও হানাহানি তুলনামূলকভাবে কম হয়। এখানেও মনোনয়ন না পাওয়া ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী অনেক বাড়তে থাকে- যা দলকে দুর্বল করে দেয়। ধনীরাই প্রার্থী হন- তারা নির্বাচিত কোনো পর্যায়েই নেই।
কিন্তু পৌরজীবনের সমস্যাগুলো- পৌর এলাকার রাস্তাঘাট, নর্দমা, ডাস্টবিন যথেষ্ট সংখ্যায় আছে কিনা বা অক্ষত আছে কিনা- শহরের আবর্জনা ঠিকমতো সূর্যোদয়ের আগে নিয়মমতো নির্দিষ্ট দূরত্বে ফেলে আসা হচ্ছে কিনা- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা দেয়ার কেউ নেই। যেন ভোট-ভোটের জন্যই শুধু। কাজের দায়িত্ব সরকারের। সরকার টাকা বরাদ্দ করলে কাজ হবে- না দিলে হবে না। অথচ দেশের বেশিরভাগ পৌর এলাকায় এমন সমস্যায় পৌরবাসী বছরের পর বছর ভুগছেন।
আবার উপজেলা পরিষদ হাট-বাজার থেকে টোল বা ইজারা দিয়ে টাকা পেয়ে থাকলেও তেমন অধিকার পৌরসভাগুলোর না থাকায় তারা আর্থিকভাবে সরকারের অনুদানের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। পৌরকর, বিদ্যুৎ কর, জলকর, শিক্ষাকর পৌরবাসীর কাছ থেকে আদায়ের কথা থাকলেও করগুলো আদায়ে তাদের কোনো তৎপরতা নেই। তৎপরতা হলে যদি (আগামী) নির্বাচনে ভোট কমে যায়- তাই এমন ব্যবস্থা। কিন্তু সরকারের টাকার বরাদ্দ পাওয়া না পাওয়ার ব্যাপারটি অনেক ক্ষেত্রেই নির্ভর করে মেয়রটি সরকারি দলের লোক কিনা তার ওপর। এভাবেই সারাদেশে স্থানীয় সরকার অসহায়ত্বে পড়ছে এবং উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে- আমলাদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সৎলোক এবং জনসাধারণ রাজনীতি ভোট-বিমুখ হয়ে পড়ছেন দিনে দিনে।

অতঃপর সিটি কাউন্সিল
এখানে সব স্তরেই একই পদ্ধতিতেই নির্বাচনী আয়োজন। প্রতীক বণ্টন, প্রতীক পাওয়া না পাওয়া প্রার্থীদের দ্ব›দ্ব দলকে দুর্বল করে তুলছে, নির্বাচিতরাও নিজ নিজ এলাকার সবার মেয়র-কাউন্সিলর হয়ে উঠতে পারছেন না। তবে সিটি মেয়রদের এলাকা বড়, জনসংখ্যাও বেশি, কাজও বেশি। কিন্তু শহরে পরিচ্ছন্ন করা, যানজট নিরসন করা, বর্ষায় রাস্তায় জল জমে যানবাহন ও মানুষের চলাচলের সংকট সর্বত্রই তীব্র। এগুলো আধুনিকীকরণের কোনো ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয় না। বস্তুত আগেই বলেছি, সরকারি কোনো সংজ্ঞা ‘স্থানীয় সরকার’ বা স্থানীয় প্রশাসন- যা প্রথমেই লিখেছি তা আদৌ স্পষ্ট নয়। যেমন দেখা যায়, অনেক উপজেলায় একাধিক পৌরসভা- এদের পারস্পরিক সম্পর্ক কী? উপজেলা পরিষদের প্রয়োজনীয়তা বেশি নাকি ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতায়নের প্রয়োজন জনস্বার্থে বেশি এবং পারস্পরিক ক্ষমতার পুনঃবণ্টন প্রয়োজন।

সিটি কাউন্সিল
ঢাকায় সিটি কাউন্সিল একটির জায়গায় এখন দুটি করা হয়েছে। আরো যে করা হবে না তাও জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে মেয়ররা মন্ত্রীর পদমর্যাদায় গাড়ি-বাড়ি সরকারিভাবে পেলেও, বিস্তর বেতন-ভাতা। নগরীর নিচু অঞ্চলে জল জমার হাত থেকে মানুষের রেহাই নেই; বৈজ্ঞানিকভাবে পশু জবাই ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতারও জবাব নেই। অথচ এই প্রতিষ্ঠানগুলো হতে পারত প্রকৃত স্থানীয় সরকার-গণতন্ত্রের শিক্ষাস্থল। সব সত্ত্বেও স্থানীয় সরকারের প্রয়োজনীতা অসীম।

জেলা পরিষদ
এগুলোর উপরে রয়েছে জেলা পরিষদ। এর চেয়ারম্যানও দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হন বর্তমান আইন অনুযায়ী। তারা নির্বাচিত হন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের ভোটে। অনেকটা আইয়ুব বর্তমান আইন অনুযায়ী।
তারা নির্বাচিত হন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের ভোটে। অনেকটা আইয়ুব প্রবর্তিত ‘মৌলিক গণতন্ত্রের মতো। বাড়ি-গাড়ি পান তবে নিজস্ব আয় সামান্য, তাই সরকারের ওপর নির্ভরশীল।
সংসদ সদস্যরা এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর অনানুষ্ঠানিকভাবে বিপুল ক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতায় প্রায়ই হস্তক্ষেপ করে থাকেন। অথচ সংসদে বসে দেশের স্বার্থে আইন প্রণয়নই তাদের একমাত্র কাজ। এ ক্ষমতা যাতে প্রয়োজন না হয় এবং স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা রক্ষিত হয় তাদের কর্তব্যে।
রণেশ মৈত্র : রাজনীতিক ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়