‘শিশু বক্তা’ রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

আগের সংবাদ

চমক থাকছে টাইগার স্কোয়াডে ; মিরপুরে পতাকা উড়িয়ে পাকিস্তানের অনুশীলন

পরের সংবাদ

সাংবাদিকদের র‌্যাব : দুই গ্রুপের দ্ব›েদ্ব ছুরিকাঘাতে খুন হয় হানিফ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ২টি গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নগরীর খুলশীতে ছুরিকাঘাতে হানিফকে হত্যা করা হয়। ঘটনায় নিহত-আহত এবং হত্যাকারীরা সবাই ২টি পৃথক গ্রুপের সদস্য এবং তারা উভয়ই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত বলে জানিয়েছে র‌্যাব। হানিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব এসব তথ্য জানায়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আমির হোসেন (৫০) ও তার তিন ছেলে সোহাগ (২৩), সোহেল (২১) ও হাসান (১৯)।
র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ সাংবাদিকদের বলেন, আমির হোসেনের বাড়ি শরীয়তপুরে হলেও তিনি ছোটবেলা থেকে আমবাগান এলাকায় থাকত। সে ‘আমির ডাকাত’ নামেও পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্রসহ তিনটি মামলা আছে। আমির তার চার ছেলের মধ্যে তিনজনকে ‘কিশোর গ্রুপে’ সম্পৃক্ত করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করাতেন। তিনি বলেন, নিহত হানিফ এবং তার ভাই আহত অনিকও আলাদা একটি কিশোর গ্রুপের সদস্য। তারা রেলের বিভিন্ন স্থাপনা অবৈধ দখলে রেখেছে। সেগুলো নিয়ে সোহেলদের সঙ্গে তাদের দ্ব›দ্ব ছিল। আমির আমবাগান এলাকায় স্থানীয় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে আর্থিক পৃষ্টপোষকতা করেছিলেন, যেটা মেনে নিতে পারেনি হানিফ ও অনিক। সেটা নিয়েও তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল। ঘটনার দিন আমির ও তার ছেলে সোহেল দলবল নিয়ে খেলার মাঠে যায়। সেখানে হানিফদের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় সোহেল একটি ছোট ছুরি দিয়ে হানিফকে বুকে এবং অনিককে পায়ে আঘাত করে।
র‌্যাব কর্মকর্তা ইউসুফ বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর র‌্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা প্রথমে নগরীর কর্নেলহাট এলাকায় এক স্বজনের বাসায় আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে সোহেল ও হাসান শরীয়তপুরের নড়িয়ায় এক মামার বাড়িতে এবং বাকি দুজন ঢাকার কেরানীগঞ্জে আশ্রয় নেয়। শনিবার সন্ধ্যায় প্রথমে সোহেল ও হাসানকে শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের বাবা ও আরেক ভাই সোহাগকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। মূলত পূর্ব শত্রæতার জের ধরে হানিফকে খেলার মাঠ থেকে ডেকে নিয়ে আসামিরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। প্রসঙ্গত, গত ৮ নভেম্বর বিকালে খুলশী থানার আমবাগান শহীদ মিনার সংলগ্ন তরুণ সংঘের মাঠে ছুরিকাঘাতে খুন হয় মো. হানিফ। এ সময় তার ভাই মো. অনিককেও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বড় ভাই মো. জয়নাল বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে খুলশী থানায়। হত্যাকাণ্ডের পরপর পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়