‘শিশু বক্তা’ রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

আগের সংবাদ

চমক থাকছে টাইগার স্কোয়াডে ; মিরপুরে পতাকা উড়িয়ে পাকিস্তানের অনুশীলন

পরের সংবাদ

তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী : অডিও পর্নোগ্রাফি সাইট ও লিংক বন্ধ করা হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে এ পর্যন্ত ২৬ হাজার পর্নোগ্রাফি সাইট বন্ধ করা হয়েছে। অডিও পর্নোগ্রাফি সাইট ও লিংকও বন্ধ করা হবে। কেউ এ ধরনের আপত্তিজনক লিংক পেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ‘১০০’ নম্বরে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
গতকাল রবিবার ‘শিশু সুরক্ষা প্রেক্ষাপট ও করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান। সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স (বিটিএস) ও সেভ দ্য চিলড্রেন এই সভার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যত বেশি ডিজিটালাইজ হচ্ছি অপরাধও তত বেশি ডিজিটালাইজড হচ্ছে। অনলাইনে মানসিক নির্যাতনটা ভয়াবহ। এর থেকে সুরক্ষার বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আপত্তিজনক কোনো সাইট বা লিংকের খবর পেলে ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কিংবা বিটিআরসি’র ‘১০০’ নম্বরে জানালে আমরা তা বন্ধে ব্যবস্থা নেব। ফেসবুক বা ইউটিউবের সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।
বিটিএসের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ন ম আজিজুল হক, এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক (চাইল্ড রাইটস গভর্ন্যান্স ও চাইল্ড প্রটেকশন) আবদুল্লাহ আল মামুন। বক্তব্য রাখেন বিটিএসের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার ও বিটিএসের নির্বাহী পরিচালক রোকসানা সুলতানা। বিটিএস পরিচালিত ‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণ চলমান সময়ে বাল্যবিয়ে, শিশু নির্যাতন ও যৌন নির্যাতন এবং অনলাইন শিশু যৌন নির্যাতন পরিস্থিতি’ শীর্ষক জরিপের তথ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (কর্মসূচি ও পরিকল্পনা) জাহিদুল ইসলাম।
জরিপের তথ্য বলছে, কোভিড-১৯ অতিমারিতে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাল্যবিয়ে, শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। তবে আশার কথা হলো, নির্যাতনের বিরুদ্ধে শিশুদের মাঝে বিশেষ করে কন্যা শিশুদের নিরবতা ভাঙার প্রবণতা বেড়েছে। অন্যদিকে শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার যেমন বেড়েছে তেমনি অনলাইনের মাধ্যমে শিশু যৌন নির্যাতনও বাড়ছে। অধিকাংশ শিশুই জানে না কিভাবে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। করোনাকালে অনলাইনে ৫০১ জন শিশুর ওপর (১০ থেকে ১৮ বছরের কম বয়সি) পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স পরিচালিত এই জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ শিশু শিশুদের সরকারি হেল্পলাইন নম্বর সম্পর্কে জানে, ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ শিশু শারীরিক, ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ মানসিক এবং ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ৭১ দশমিক ২৪ শতাংশ শিশু কিভাবে নিরাপদ ইন্টানেট ব্যবহার করতে হয় তা জানে না।
শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারে শিশুরা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।
তাই বলে তাদের ইন্টারনেট থেকে দূরে রাখা যাবে না। সেটি যাতে নিরাপদ হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অভিভাবকদেরও এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনায় সরকার ও যারা ঘরে ঘরে এই সেবা পৌঁছে দিচ্ছে তাদের কিছু করণীয় আছে। সরকার তার কাজটি করছে। কিন্তু অভিভাবক ও যারা সেবা পৌঁছে দিচ্ছে তাদের করণীয় জায়গাটিও নিশ্চিত হতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়