‘শিশু বক্তা’ রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

আগের সংবাদ

চমক থাকছে টাইগার স্কোয়াডে ; মিরপুরে পতাকা উড়িয়ে পাকিস্তানের অনুশীলন

পরের সংবাদ

ঢাকায় ৩ দিনের আইওআরএ সম্মেলন শুরু : ভারত মহাসাগরে কারো একক আধিপত্য চায় না বাংলাদেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিশ্বের কোনো দেশের একক আধিপত্য বাংলাদেশ দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, আমরা উন্মুুক্ত, মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারত মহাসাগর অঞ্চল চাই। এটাই আমাদের নীতি।
গতকাল রবিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইন্ডিয়ান ওশেন রিম এসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ২১তম মন্ত্রিপর্যায়ের সম্মেলনের পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট বিভাগের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠার ২৪ বছর পর এই প্রথম ২ বছরের জন্য বাংলাদেশ আইওআরএর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। আজ সোমবার থেকে বাংলাদেশ এ দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে গঠিত জোট আইওআরএর তিন দিনব্যাপী ওই সম্মেলন আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে শুরু হবে। দুপুর ১২টায় সম্মেলনের অধিবেশন শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আর ২ দিন পর শুরু হবে মিনিস্ট্রিয়াল সেগমেন্ট। মোমেন বলেন, অনিষ্পন্ন বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয় নিয়েও কথা হবে। ১৭ নভেম্বর মিডিয়া ব্রিফিং হবে। ঢাকা ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের আওতায় সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে কিছু কার্যকর উদ্যাগ নিতে চায় বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বলেন, আইওআরএর অ্যাকশন প্ল্যান (কর্মপরিকল্পনা) এ সম্মেলনে অনুমোদন হবে। ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্টে (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা) অনেক দেশ বাংলাদেশের দিকেও তাকিয়ে আছে। ভারত মহাসাগরকেন্দ্রিক সবার অগ্রহ আছে। এখানে শান্তিপূর্ণ অর্থনৈতিক বিকাশ সম্ভব। ২৪ বছরে আইওআরএর অর্জন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নেচার বেজড সলিউশন (প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান), ডিজেস্টার (দুর্যোগ), ক্লাইমেট (জলবায়ু) ও মেরিটাইম সার্চ এন্ড রেসকিউ প্রোগ্রামে (তল্লাশি ও উদ্ধার কর্মসূচি) অংশ নিচ্ছে। পারস্পরিক সহযোগিতার এটা একটি ভালো ফোরাম।
তিন দিনের সম্মেলনে ২৩ দেশের মধ্যে ১১টির ১২ জন মন্ত্রী সশরীরে অংশ নেবেন। এতে সরাসরি অংশ নেবেন ৮২ প্রতিনিধি। উপস্থিত হতে না পারা মন্ত্রীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। সম্মেলনে ছয়টি বিষয় প্রাধান্য পাবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সমুদ্র, মৎস্যসম্পদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সুনীল অর্থনীতি। এবারের সম্মেলনে ৯ ডায়ালগ পার্টনার আছে। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষা নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনায় সামর্থ্য ও সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে নেভাল শিপ, বিমান, রাডার, স্যাটেলাইট কেনা ও বানানোর চিন্তা করা হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এছাড়া ৬টি নেভাল শিপ ও ৬টা শিপ কেনা ও তৈরির চিন্তা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মাণকারী দেশ ফ্রান্স আরো একটা স্যাটেলাইট দিতে চায়। হযরত শাহজালালে রাডার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থালাস আরো রাডার দিতে চায় বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক জোট বা ইপিএস নিয়ে নিজেদের ধারণা সবার কাছে প্রকাশ করেছে। ফ্রি, ওপেন, সিকিউর (মুক্ত, অবাধ, নিরাপদ) ইন্দো-প্যাসিফিক ওশান চায় বাংলাদেশ। সুনীল অর্থনীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। দ্রুতগামী গান বোট কেনা হয়েছে। ডিজিটাল সেন্সিং বাড়ানো হয়েছে। আটটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং ভুটানের সাবেক রাজাকে ১৬ ডিসেম্বরের জন্য দাওয়াত দিয়েছি। এরই মধ্যে ভারত দেশটির রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করেছে। তবে এখনো ভুটানের পক্ষ থেকে দেশটির সাবেক রাজার সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। আগামী ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের পূর্তি হবে পাঁচ দশক। ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণ উপলক্ষে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ঢাকায় আসবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। ১৬ ডিসেম্বর তিনি ঢাকায় বিজয় দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে রামনাথ কোবিন্দের এটি হবে প্রথম বাংলাদেশ সফর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়