‘শিশু বক্তা’ রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

আগের সংবাদ

চমক থাকছে টাইগার স্কোয়াডে ; মিরপুরে পতাকা উড়িয়ে পাকিস্তানের অনুশীলন

পরের সংবাদ

ক্ষেতলালে নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে আহত ১২ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আলমপুর গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পরাজিত ও বিজয়ী ইউপি সদস্যদের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ভোট দেয়া না দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বাড়িঘর, পাওয়ার টিলার ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার থানায় আলমপুর নলপুকুর আদর্শ গ্রামের রিনা বেগম (৩০) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন এবং ওই দিনই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে দুজনকে গ্রেপ্তার থানা পুলিশ এবং বিকালে ওই দুজনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলো- আলমপুর ইউপির দক্ষিণ বাসতা মধুপুকুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আজিজুল হাকিম বাবু ফকির (৩৫) ও আলমপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের সাহের আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)।
এলাকাবাসী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে ইদ্রিস আলী (মোরগ) প্রতীক নিয়ে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচিত হন। নির্বাচনের দুই দিন পর গত শনিবার সন্ধ্যা ও রাতে আলমপুর গ্রামের পরাজিত প্রার্থী রিপন ইসলামকে ভোট না দেয়ার আভিযোগে বিজয়ী ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলীর সমর্থক ও পরাজিত ৫ প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে কালিচরন শাহা, আলমগীর হোসেন, কাজল, মোফাজ্জল হোসেন, শাহাদুল ইসলাম, আনজুয়ারা, স্বপ্না, ফিরোজ, সাজু, আমিনুর ও উজ্জ্বলসহ উভয়পক্ষের প্রার্থীর ১২ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। তাদের মধ্যে কালিচরন শাহার অবস্থা কিছুটা গুরুতর হওয়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে পাঠানো হয় এবং বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
মামলার বাদীর স্বামী তাইফুল ইসলামের বাড়ি ভাঙচুর, মোটরসাইকেল ও পাওয়ার টিলারে আগুন জ¦ালিয়ে দেয়। এছাড়া আজিজুল ইসলাম ও সাজুর কাটা ধান আগুন জ¦ালিয়ে দিলে খবর পেয়ে ক্ষেতলাল ফায়ার সার্ভিসের টিম গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ক্ষেতলাল থানার ওসি নীরেন্দ্র নাথ মণ্ডল বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আলমপুর গ্রামে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে রিমা বেগম বাদী হয়ে ২৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করলে তাদের মধ্যে হতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়