‘শিশু বক্তা’ রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

আগের সংবাদ

চমক থাকছে টাইগার স্কোয়াডে ; মিরপুরে পতাকা উড়িয়ে পাকিস্তানের অনুশীলন

পরের সংবাদ

ইকুয়েডরে কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গায় নিহত ৬৮, আহত ২

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইকুয়েডরের গুয়াইয়াকিল শহরের পেনিতেনসিয়ারিয়া ডেল লিতোরাল কারাগারে দাঙ্গায় অন্তত ৬৮ জন নিহত হয়েছেন। দাঙ্গার এ ঘটনাটি অপরাধীগোষ্ঠীর মধ্যে ঘটেছে বলে গত শনিবার দেশটির সরকার জানায়। এর আগে কর্তৃপক্ষ এ দাঙ্গায় ৫৮ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছিল, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াইয়াকিলের এ কারাগারটিতেই গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আরেকটি দাঙ্গায় ১১৯ জন বন্দি নিহত হয়েছিল- যা এ পর্যন্ত দেশটিতে ঘটা সবচেয়ে ভয়াবহ কারাদাঙ্গা। সেবার এই সহিংসতার জন্য কারাগারটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাদক পাচারকারীগোষ্ঠীর মধ্যে চলা বিরোধকে দায়ী করেছিল দেশটির সরকার। গুয়াইয়াস প্রদেশের গভর্নর পাবলো আরোসেমেনা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এক অপরাধীগোষ্ঠীর প্রধানের মুক্তির পর সৃষ্ট শূন্যতা পূরণ নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরে এবারের ঘটনাটি ঘটেছে। আরোসেমেনা বলেন, কয়েকদিন আগে সাজার মেয়াদের ৬০ শতাংশ পূর্ণ হওয়ার পর কারাগারের এই ব্লকটি নিয়ন্ত্রণকারী অপরাধী দলটির নেতা মুক্তি পান। তারপর থেকে সেখানে কোনো নেতা ছিল না। এ পরিস্থিতিতে তাদের পরাস্ত করার চেষ্টা করে অন্য ব্লকগুলো নিয়ন্ত্রণকারী অন্য দলগুলো। তারা সেখানে প্রবেশ করার পর ব্লকটি পুরোপুরি রণক্ষেত্র হয়ে যায়।
রাতভর চলা এ দাঙ্গার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এসেছে। ভেতরে থাকা বন্দিরাই এসব পোস্ট করেন বলে ধারণা। এসব ভিডিওতে দেখা গেছে, বন্দিরা সহিংসতা থামানোর জন্য সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন আর তাদের পেছনে মুহুর্মুহু গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে রয়টার্স এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটির কারাগারগুলোতে প্রায় ৩৯ হাজার বন্দি আছে।
এসব কারাগারে প্রায়ই দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ইকুয়েডরের আরেকটি কারাগারে দাঙ্গায় ৭৯ জন এবং জুলাইয়ে আরেকটিতে ২২ জন নিহত হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে পেনিতেনসিয়ারিয়া ডেল লিতোরাল কারাগারে ভয়াবহ ওই দাঙ্গার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট গিয়ারমো লাসো দেশজুড়ে কারাগারগুলোতে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। তখন কারাগারগুলো স¤প্রসারণের জন্য তহবিল ছাড় এবং সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সামরিক বাহিনীর সহায়তার অনুমতিও দেয়া হয়েছিল। জরুরি অবস্থা জারির পর থেকে পুলিশি অভিযানে পেনিতেনসিয়ারিয়া ডেল লিতোরালসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে বিপুল পরিমাণ বন্দুক, গ্রেনেড, ছুরি, যুদ্ধোপকরণ, মোবাইল ফোন ও মাদকসামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়